তেল মন্ত্রকে গুপ্তচরবৃত্তি, ধৃত আরও দুই

তেল মন্ত্রকে গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ বার সরাসরি ব্যক্তিগত সচিব এবং ব্যক্তিগত সহায়ক পদের আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের এক জন হলেন বন এবং পরিবেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের ব্যক্তিগত সচিব জিতেন্দ্র নাগপাল এবং অন্য জন ইউপিএসসি-র এক সদস্যের ব্যক্তিগত সহায়ক বিপন কুমার। ধৃত বিপন আগে তেল মন্ত্রকের অধীনে কাজ করতেন। দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) রবীন্দ্র যাদব বলেন, ''সেই সুবাদে তেল মন্ত্রকের বেশ কিছু অফিসারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের সাহায্যেই মন্ত্রকের গোপন নথি বিপনের হাতে এসে পৌঁছত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৬:৩৯
Share:

তেল মন্ত্রকে গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ বার সরাসরি ব্যক্তিগত সচিব এবং ব্যক্তিগত সহায়ক পদের আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের এক জন হলেন বন এবং পরিবেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের ব্যক্তিগত সচিব জিতেন্দ্র নাগপাল এবং অন্য জন ইউপিএসসি-র এক সদস্যের ব্যক্তিগত সহায়ক বিপন কুমার। ধৃত বিপন আগে তেল মন্ত্রকের অধীনে কাজ করতেন। দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) রবীন্দ্র যাদব বলেন, ''সেই সুবাদে তেল মন্ত্রকের বেশ কিছু অফিসারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তাঁদের সাহায্যেই মন্ত্রকের গোপন নথি বিপনের হাতে এসে পৌঁছত। তার পর চুরি করা নথি জিতেন্দ্র ও বিপন ধৃত লোকেশ শর্মার কাছে পৌঁছে দিত।" এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করলেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

তেল মন্ত্রকের গোপন নথি চুরির ঘটনা সামনে আসার পরে থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। শুধু তেল মন্ত্রকই নয়, চুরির রহস্য সম্প্রসারিত হয়েছে আরও দুটি মন্ত্রকে। সোমবার কয়লা ও বিদ্যুত্ মন্ত্রকে নথি চুরির অভিযোগে দিল্লি পুলিশ লোকেশ শর্মা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। লোকেশ 'ইনফ্রেলাইন' নামে জ্বালানি সংক্রান্ত একটি পরামর্শদাতা সংস্থার কর্মী। তিনি দিল্লির শাস্ত্রী ভবনে কয়লা ও শ্রমশক্তি ভবনে বিদ্যুত্ মন্ত্রক থেকে গোপন নথি চুরির কাজে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। লোকেশকে জেরা করে জিতেন্দ্র এবং বিপনের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত লোকেশের সঙ্গে এই কাজে আরও দু’জন যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনার তদন্তে সামনে এসেছে শিল্প মহলের যোগাযোগের সম্ভাবনাও। এই চক্রে আর কারা জড়িত, কোন কোন ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা লাভবান হয়েছে, টাকাপয়সার কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, এখন সে সব খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement