পুলিশের নোটিস পেয়ে বুধবার থানায় হাজিরা দিতে গেলেন না সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় বুধবার দুপুর দু’টোয় তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল পুলিশ। কিন্তু নিজে না-গিয়ে গৌতমবাবু এ দিন আইনজীবী মারফত পুলিশের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “ভোটের সময় দলের জরুরি কাজ ছেড়ে এখন হাজিরা দিতে যাওয়া সম্ভব নয়।” তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় মনে হলে পরে তিনি তা পুলিশকে জানাবেন।
এরই পাশাপাশি এ দিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীকে একই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। গৌতমবাবুর মতো সুজনবাবুও এখন পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুজনবাবুর বক্তব্য, “এই মামলা দায়ের করা হয়েছে ৬ মে ২০১৩ তারিখে। আমার বক্তব্য জরুরি মনে হলে এক বছর ধরে কী ঘুমোচ্ছিলেন! বোঝাই যাচ্ছে ভোটের সময় হয়রান করার জন্য এই ধরনের অসভ্যতা করা হয়েছে।”
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি এ দিন বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনায় ভোট এখনও হয়নি। প্রচারের কাজ ফেলে এখন হাজিরা দেওয়া গৌতমের পক্ষে সম্ভব নয়।” পাশাপাশি বিমানবাবুর প্রশ্ন, বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে কিছু তথ্য দেওয়ার পরেই রাতে পুলিশ পাঠানো হল। এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র?