ধস নেমে বিপত্তি শ্যামবাজারে

ঢাকুরিয়ার পর এবার শ্যামবাজার। ফের রাস্তায় ধস নামল ব্যাস্ত শহরে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজী মূর্তির পিছনে রাস্তার বেশ খানিকটা অংশ জুড়ে একটা গর্ত নজরে পড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, রাস্তার ওই অংশে ধস নেমে গর্ত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:১৪
Share:

মেয়রের উপস্থিতিতে চলছে সারাইয়ের কাজ। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

ঢাকুরিয়ার পর এবার শ্যামবাজার। ফের রাস্তায় ধস নামল ব্যাস্ত শহরে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজী মূর্তির পিছনে রাস্তার বেশ খানিকটা অংশ জুড়ে একটা গর্ত নজরে পড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, রাস্তার ওই অংশে ধস নেমে গর্ত হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, চওড়ায় খুব একটা বেশী না হলেও ধসের গভীরতা ১৫ ফুট। নীচে জলের স্রোত থাকায় কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার নীচে কতখানি এলাকা জুড়ে মাটি বসে গিয়েছে তা বোঝা কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়েছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। দুর্ঘটনা এড়াতে ধসের পাশে অনেকখানি এলাকা জুড়ে রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা। তারপরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। পুলিশ জানিয়েছে, এমনিতেই শ্যামবাজার জনবহুল এলাকা। তার উপর অফিসের ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনার জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূপেন বোস রোড দিয়ে বেশ কিছু গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তার ওই অংশে একটি ম্যানহোল করে দেওয়া হবে।

Advertisement

দিন কয়েক আগেও ঢাকুরিয়া ব্রিজের কাছে ধস নেমে তিন ফুট গভীর হয়ে রাস্তা বসে গিয়েছিল। পরে খোঁড়াখুড়ি করতে শুরু করলে দেখা যায় যে পাঁচ ফুট লম্বা এবং চার ফুট চওড়া অংশ জুড়ে রাস্তার নীচে কোনও মাটি নেই। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ জানিয়েছিলেন, ওই এলাকায় বালি মাটির পরিমাণ বেশি। পাশেই পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। কম্পনের ফলেও ধস নামতে পারে বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে রুবি মোড়ের কাছেও রাস্তায় ধস নামে। সে ক্ষেত্রে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, মেট্রো রেলের কাজের জন্য বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী বেড়া দেওয়া হয়েছে। ভারি বৃষ্টি হলে ওই এলাকায় জল জমে যায়। মন্ত্রীর অভিযোগ, ওই বেড়ার মধ্যে জমে থাকা জল রাস্তার নীচে চলে যাচ্ছে। আর তার জেরেই ওই রাস্তায় ফাটল ধরছে।

এ দিনের ধসেরও প্রকৃত কারণ এখনও জানা জায়নি। তবে পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে সম্প্রতি একটি সংস্থা মাটির নীচে তার বসানোর জন্য শ্যামবাজারের ওই অংশের রাস্তা খোড়াখুড়ি করেছিল। সে থেকেই এই ধস হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement