আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিপিএম নেতা চণ্ডী করণকে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
অবশেষে সিআইডির জালে ধরা পড়লেন নেতাই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএমের বেলাটিকরি লোকাল কমিটির সম্পাদক চণ্ডী করণ। দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ছিলেন তিনি। সিআইডির একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির চণ্ডীতলায় একটি বেসরকারি স্কুল থেকে চণ্ডী করণকে গ্রেফতার করে। তাঁকে শুক্রবার ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। সিআইডি জানায়, চণ্ডীতলার একটি বেসরকারি স্কুলে নাম ভাঁড়িয়ে নৈশপ্রহরী তথা কেয়ারটেকারের কাজ করছিলেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তের আইনজীবীর জামিনের আবেদন নাকচ করে এ দিন চণ্ডী করণকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক সুপর্ণা রায়। আগামী ১২ মে ফের তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। নেতাই-কাণ্ডের তদন্তভার বর্তমানে সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত দু’বছর ধরে বাঁকুড়া, কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, কল্যাণী, বেলঘরিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গা আত্মগোপন করেছিলেন।
নেতাই-কাণ্ডে ২০ জন অভিযুক্তের মধ্যে অনুজ পাণ্ডে-সহ ফেরার আট জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তার মধ্যে বুধবার রাতেই ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার চন্দ্রপুরা থেকে নেতাই-কাণ্ডের মূল চক্রী অনুজ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কয়েক দিন আগেই ধরা পড়েন সিপিএমের আরও পাঁচ নেতা-কর্মী। চণ্ডী করণের গ্রেফতারির পর সিপিএম নেত্রী ফুল্লরা মণ্ডল বাদে বাকি সব অভিযুক্তই এখন জেল হেফাজতে।
অন্য দিকে, এ দিন আদালত চত্বরে প্রহৃত হন চণ্ডীবাবুর ভাই সুজিত ও জ্যাঠতুতো দাদা গণেশ করণ। লালগড়ের নেতাই গ্রামের কিছু বাসিন্দা ও স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক অভিযুক্তের আত্মীয়দের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে।