নিতুর পর এবার গ্রেফতার সন্দির অগ্রবাল

টানা সাড়ে সাত ঘন্টা জেরা করার পরে চা ও নির্মাণ ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালকে গ্রেফতার করল সিবিআই। শনিবার দুপুরে সন্ধিরকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। পরে এ দিনই রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবারও তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সারদা কান্ডে রাজ্যে সিবিআইয়ের এটি দ্বিতীয় গ্রেফতার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৪ ০০:১৩
Share:

টানা সাড়ে সাত ঘন্টা জেরা করার পরে চা ও নির্মাণ ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালকে গ্রেফতার করল সিবিআই। শনিবার দুপুরে সন্ধিরকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। পরে এ দিনই রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবারও তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সারদা কান্ডে রাজ্যে সিবিআইয়ের এটি দ্বিতীয় গ্রেফতার।

Advertisement

সিবিআই সূত্রের খবর, এ দিন সিবিআই দফতরে আসার পরে প্রথমে রজত মজুমদার ও সন্ধিরকে এক ঘরে বসিয়ে জেরা করা হয়। পরে সুদীপ্ত সেন, রজত মজুমদার ও সন্ধিরকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই তদন্তকারীরা। এরপরে আবার দেবব্রত সরকারের মুখোমুখি সুদীপ্ত সেন ও সন্ধিরকে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় রাতে সন্ধিরকে গ্রেফতার করা হয়।

সিবিআই সূত্রে খবর, ব্যবসায়ী সজ্জন অগ্রবালের ছেলে বছর চল্লিশের সন্ধির ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় ছিল দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুর। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে সন্ধির পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল নিতুই। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগান বিক্রির প্রস্তাব নিয়েই প্রথম সুদীপ্ত সেনের কাছে গিয়েছিল সন্ধির।

Advertisement

সিবিআই সূত্রের খবর, সুদীপ্ত সেন অভিযোগ করেছিল তার সংস্থায় যাতে সেবি (স্টক এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া), আরওসি এবং আরবিআই কোনও সমস্যা না করে সে জন্য নিতু তার কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই প্রতারণায় নিতুর সঙ্গে সন্ধিরও যুক্ত থাকতে পারে। এছাড়াও সিবিআইয়ের কাছে সুদীপ্ত অভিযোগ করেছেন, রাজারহাট, মধ্যমগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনা-বেচার জন্য সজ্জন অগ্রবাল ও তার ছেলে সন্ধিরকে প্রায় ১১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা নিয়ে প্রতারণা ও তছরুপের অভিযোগও রয়েছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সজ্জন ও সন্ধিরের সঙ্গে রাজনৈতিক ও প্রশাসনের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি, সাংসদ এর যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তাঁদের কারও নামই বলতে চাননি সিবিআই আধিকারিকেরা।

সন্ধির বিরুদ্ধে ৪০৬ (বিশ্বাসঘাতকতা), ৪০৯ (অপরাজনক বিশ্বাসভঙ্গ), ৪২০ (প্রতারণা), ১২০বি (অপরাধজনক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন রাতে সুদীপ্ত, নিতু ও সন্ধিরকে বিধাননগরের আলাদা আলাদা তিনটি থানায় রাখা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement