ট্রফি হাতে মারিন চিলিচ। ছবি:এএফপি।
প্রথম এশীয় পুরুষ হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্ন অধরাই রইল জাপানের কেই নিশিকোরির। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পুরুষ সিঙ্গলস খেতাব জিতলেন ক্রোয়েশীয় মারিন চিলিচ। ফল ৬ ফুট ৬ ইঞ্চির দীর্ঘদেহী চিলিচের পক্ষে ৬-৩, ৬-৩, ৬-৩।
ফাইনালে এই ফলাফলের সঙ্গে সঙ্গেই এই টুর্নামেন্টে স্ট্রেট সেটে জয়ের হ্যাটট্রিকও করলেন চিলিচ। শেষ আটে টমাস বার্ডিচকে তিনি হারিয়েছিলেন স্ট্রেট সেটে। সেমিফাইনালে একই ভাবে উড়িয়েছিলেন রজার ফেডেরারকে। একই ভাবে ফাইনালেও চূর্ণ করলেন নিশিকোরিকে।
কয়েক বছর আগেও নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগে টেনিস-জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল চিলিচের। ২০১০ সালে সেই ঘটনার পরে দু’বছরের নির্বাসনের কোপে পড়েন চিলিচ। বহু আবেদনের ফলে সাসপেনশনের সময়সীমা কমে দাঁড়ায় চার মাসে। সেই কঠিন সময়ের মধ্যে তাঁর পাশে দাঁড়ান তাঁর বর্তমান কোচ তথা প্রাক্তন টেনিস তারকা গোরান ইভানিসেভিচ। যিনি ২০০১ সালে ১২৫ এটিপি র্যাঙ্কিং নিয়ে প্রথম ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হিসাবে উইম্বলডন খেতাব জিতেছিলেন। সেই রেকর্ড এখনও অটুট। ইভানিসেভিচই তাঁর প্রাক্তন কোচ অস্ট্রেলিয়ার বব ব্রেটের কাছে চিলিচকে নিয়ে যান। ব্রেটের প্রশিক্ষণে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে উঠে আসেন চিলিচ। গত বছরের শেষে চিলিচের কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন ইভানিসেভিচ।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জয়ের ফলে গুরু-শিষ্যের ঝুলিতে একটি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের খেতাব এল। এর আগে ২০১০-এ অস্ট্রেলীয় ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন চিলিচ। ইভানিসেভিচের পর প্রথম ক্রোয়েশীয় হিসাবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের খেতাব জিতলেন তিনি। জয়ের পরে চিলিচ বলেন, “যে স্বপ্নের পিছনে দৌড়চ্ছিলাম, তা আজ সত্যি হয়েছে।”