শহিদ মিনারে রাহুল গাঁধীর ছবি তুলেছেন দেশকল্যাণ চৌধুরী।
শহিদ মিনার ময়দানে তাঁর থাকার কথা ছিল এক ঘণ্টার মতো। থাকলেন সাকুল্যে পাঁচ মিনিট। তবু তারই মধ্যে নিজের উপস্থিতি দিয়ে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে গেলেন এআইসিসি-র সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। অথচ, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটেতে কালবৈশাখীর দাপটে কলকাতায় তাঁর সভা প্রায় পণ্ড। আগরতলা থেকে তিনি যখন কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন তখনই এসপিজি মারফত খবর পৌঁছয়, সভা করার পরিস্থিতি নেই।
কারণ, বিশ মিনিটের ঝড়-বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি। মাঠে কোথাও থকথকে কাদা। কোথাও জল থইথই। সভাস্থল ঘেরা সামিয়ানা ছিঁড়ে ফর্দাফাই। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে তাঁর জন্য বাঁধা মঞ্চের চাঁদোয়া-কাঠামো ভেঙে ঝুলছে। কিন্তু তবু তিনি সভায় এসে জল-কাদায় নেমে কর্মীদের হাতে হাত মেলালেন। পরনে নীল ডেনিম প্যান্ট, সাদা কুর্তা, পায়ে পাম্প সু কাদা-জলে মাখামাখি।
রাহুল যখন মঞ্চে উঠলেন তখন মঞ্চে দলীয় প্রার্থী অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়, মৌসম বেনজির নুর এবং মানস ভুঁইয়া ছাড়াও রয়েছেন পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ খান এবং সম্পাদক শুভঙ্কর সরকার স্লোগান দেন ‘রাহুল গাঁধী জিন্দাবাদ’। দুর্যোগ উপেক্ষা করে শহিদ মিনারে কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতিতে রাহুল তৃপ্ত। রেসকোর্সের হেলিপ্যাডে যাওয়ার সময় অধীরবাবু, শুভঙ্করদের কাছে কলকাতার প্রশংসা করেছেন রাহুল।