পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএম নেতাকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

বাম-মিছিলের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর এক সদস্য। শনিবার এমনই অভিযোগ তুলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত নারায়ণচকে এই ঘটনা ঘটে। তৃণমূল যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ১২:৫৪
Share:

হাসপাতালে আহত বিজয় পালকে দেখতে এলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

বাম-মিছিলের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর এক সদস্য। শনিবার এমনই অভিযোগ তুলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত নারায়ণচকে এই ঘটনা ঘটে। তৃণমূল যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে, আগামিকাল নারায়ণচকে মেদিনীপুর কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী প্রবোধ পাণ্ডার সমর্থনে মিছিল হওয়ার কথা। তারই প্রস্ততি দেখতে বিজয়বাবু ওই এলাকায় যান। সেই সময় তাঁর উপর হামলা চালায় কয়েক জন। বামফ্রন্টের অভিযোগ, হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশিষ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। গ্রামবাসীরা চাইছেন না সিপিএম ওই এলাকায় নতুন করে ঝামেলা বাধাক। তাই বিজয় পালকে এলাকায় ঢুকতে দেখেই গ্রামবাসীদের কেউ কেউ হামলা করে থাকতে পারেন।’’ বিজয়বাবু অবশ্য বলেন, “পরিকল্পনা করেই আমাকে মারধর করেছে শাসক দলের কর্মীরা।” আহত অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, বামেদের উপর আক্রমণ যত বাড়বে, প্রতিরোধও তত বাড়বে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের হাতে দু’টো অস্ত্র ছিল। একটা মিথ্যাচার, এবং অন্যটা হামলা। প্রথমটি ধীরে ধীরে ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় অস্ত্রটির প্রয়োগও আগামী দিনে বন্ধ হয়ে যাবে।’’
এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ বিজয়বাবুকে দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, “এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। সারা রাজ্যে রোজকার ঘটনা। ওরা ভয় পেয়েছে, তাই এমন করছে।” তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে সূর্যবাবু বলেন, “উনি বুঝতে পেরেছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো লোকসভা নির্বাচন করা যাবে না।” সিপিএমের তরফে গোটা ঘটনার কথা নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, এ দিন সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির কলসিভাঙায় নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের উপর হামলা চালাল এক দল দুষ্কৃতী। সিপিএম যদিও এ ক্ষেত্রেও তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। মেদিনীপুর কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী প্রবোধ পাণ্ডার সমর্থনে এ দিন কলসিভাঙায় মিছিল বার করে বামফ্রন্ট। সেই মিছিলের পিছন দিকে একটি গাড়িতে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। তাঁরা ওই মিছিলের ছবি তুলছিলেন। আচমকাই ওই গাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে এক দল দুষ্কৃতী। প্রবোধ পাণ্ডা বলেন, “তৃণমূলই এই হামলা চালিয়েছে। গাড়িতে আমি আছি ভেবে, ভুল করে ওরা নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের আক্রমণ করে।” প্রশাসনের তরফেও পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন শালবনির বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন