বালোতেলির গোলে ধরাশায়ী ‘থ্রি লায়ন্স’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৪ ০৯:৩৫
Share:

হেডে বালোতেলির জয়সূচক গোল। আটকাতে ব্যর্থ ইংল্যান্ডের গোলকিপার। ছবি: গেটি ইমেজেস।

ইতালি-২ (মার্চিসিও, বালোতেলি)
ইংল্যান্ড-১ (স্টারিজ)

Advertisement

সিংহ বধ করে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ইতালি। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে অন্যতম কঠিন এই গ্রুপ থেকে নক আউটে যাওয়ার দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখল আজুরিরা।

অ্যারেনা আমাজোনিয়ায় এ দিন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম দল নামিয়েছিলেন রয় হজসন। জেরার ছাড়া দলের কোনও ফুটবলারই বিশ্বকাপে এর আগে গোল করেননি। ৪-৩-২-১ ফর্মেশন-এ রুনি-ওয়েলবেক-স্টারিজের সঙ্গে ফরোয়ার্ডে শুরু করেন ১৯ বছরের রাহিম স্টার্লিং। অন্য দিকে, চোটের জন্য খেলতেই পারলেন না ইতালির বড় ভরসা জিয়ানলুইগি বুঁফো। তাঁর জায়গায় তেকাঠির নিচে দাঁড়িয়ে জীবনের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেললেন সালভাতর সিরিগু। বুঁফোর ছায়ায় চাপা পড়ে থাকা সিরিগুর কাছে এ দিনের ম্যাচ যেন ছিল নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই।

Advertisement

বালোতেলিকে প্রথম একাদশে রেখে ৪-৩-৩ ছকে শুরু করেন প্রান্দেলি। বিশ্বকাপে এর আগে এক বারই মাত্র আজুরিদের হারাতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। সেই রেকর্ড মুছতে প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ইংল্যান্ডের তরুণ ব্রিগেড। খেলার চার মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় স্টার্লিঙের শট। এর পরেই হেন্ডারসনের জোরালো শট আটকে দেন সিরিগু। এই সময়ে একেবারেই অগোছালো দেখাচ্ছিল ইতালির বিখ্যাত রক্ষণকে। মাঝমাঠে পির্লো বল ধরলেই তাঁকে ঘিরে ধরছিলেন একাধিক ব্রিটিশ ফুটবলার। ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় ইতালি। বক্সের ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া ক্যানড্রিভার শট কোনওমতে আটকান হার্ট। এর পরেই আস্তে আস্তে খেলায় ফিরতে থাকে ইতালি। বালোতেলি-ক্যানড্রিভার সামনে বেশ অসহায় লাগছিল বেইন্স-জাগিয়েলকার ডিফেন্সকে। ফরোয়ার্ডদের আক্রমণের ফসল ৩৫ মিনিটে পায় ইতালি। দূরপাল্লার শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্চিসিও। তবে এই গোলের ক্ষেত্রে বড় অবদান পির্লোর। তাঁর ডামি রানে একেবারেই বোকা বনে যায় ব্রিটিশ ডিফেন্স। তবে দু’মিনিটের বেশি লিড ধরে রাখতে পারেনি আজুরিরা। ৩৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে স্টারিজের জন্য ফাঁকায় বল রাখেন রুনি। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি স্টারিজ। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে দু’বার সুযোগ পেয়েও কাজা লাগাতে পারেনি ইতালি। ১-১ অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্যানড্রিভার ক্রস থেকে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন বালোতেলি। এ দিন বেশ ভাল খেললেন সুপার মারিও। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে থাকে ইংল্যান্ড। ৬২ মিনিটের মাথায় দিনের সেরা সুযোগটি হারান ওয়েন রুনি। সিরিগুকে একা পেয়েও বাইরে শট মারেন তিনি। এর পর মোটামুটি খেলা চলতে থাকে ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড বনাম ইতালীয় ডিফেন্সের মধ্যে। ৭৭ মিনিটের মাথায় বেইন্সের শট আটকান সিরিগু। খেলার একেবারে শেষ দিকে পির্লোর একটি অসাধারণ ফ্রি কিক পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।

কঠিন গ্রুপের প্রথম ম্যাচ হেরে বেশ চাপে পড়ে গেল ইংল্যান্ড। কোস্টা রিকার কাছে উরুগুয়ে হেরে যাওয়ায় নক আউটে যাওয়ার চাপ আরও বাড়ল হজসনের ছেলেদের কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন