মৃত কাজল ভট্টাচায্যের বাড়িতে সিপিএম নেতৃত্ব। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
ফের এক প্রতিবাদীর মৃত্যু!
এ বার ঘটনাস্থল বেলঘরিয়া। পুকুরে কাপড় ধোওয়ার অপরাধে ভাইকে মারধর করছিল স্থানীয় কয়েকজন মদ্যপ ব্যক্তি। তা দেখেই ছুটে গিয়েছিলেন পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ। এলাকায় কেন প্রতিদিন রাতে ওই ব্যক্তিরা মদ্যপ অবস্থায় গণ্ডগোল করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই আক্রান্ত হতে হল ওই বৃদ্ধকে। অভিযোগ, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বুকে ঘুষি ও লাথি মারে ওই ব্যক্তিরা। এর পরেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
রবিবার রাতের এই ঘটনার পরেই বেলঘরিয়ায় যতীন দাস নগর ৫নম্বর ব্লকে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন। অভিযুক্তের বাড়ির সামনে মৃতদেহ আটকে রেখে সোমবার ভোর পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। পুলিশ জানায়, ওই বৃদ্ধের নাম কাজল ভট্টাচার্য। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। এ দিন দুপুরে মূল অভিযুক্ত চিন্ময় নাথককে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি দোকানে খাতা লেখার কাজ করতেন কাজলবাবু। তিনি বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরে সিপিএমের শাখা কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর দাদা প্রিয়ব্রত ভট্টাচার্য কামারহাটি পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রতিদিন রাতে এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় গণ্ডগোল করতেন চিন্ময় এবং তার শাগরেদরা। কিন্তু ভয়ে কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারতেন না। কেউ কিছু বললেই তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিত নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি চিন্ময়। যদিও কামারহাটির তৃণমূল চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “ওই ব্যক্তি তৃণমূল করতেন না। ওঁর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তিনি আগে সিপিএম করতেন বলেই জানি।” যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব এ কথা মানতে চাননি।