নেহাতই বিস্কুট খাওয়াতে গিয়েছিলেন ট্রাক চালক অশোক শেরপা। উল্টে তাঁকেই আক্রমণ করে বসল কুনকি দাঁতাল পৃথ্বীরাজ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের কোদালবস্তির কাছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে হাসিমারা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
কী ভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
পুলিশ ও বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গলে টহল দেওয়ার জন্য শুক্রবার বক্সা জঙ্গল থেকে কোদাল রেঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছিল বছর দশেকের কুনকি পৃথ্বীরাজকে। এ দিন তাকে নিয়ে বস্তির কাছাকাছি এলাকার ঘুরছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। পৃথ্বীরাজের সঙ্গে তার মাহুতও ছিল। ঠিক সেই সময়েই আচমকাই তার সামনে এসে পড়েন আশোক শেরপা। পুলিশ জানিয়েছে, হাসিমারা থেকে আলিপুরদুয়ারের সোনারপুর এলাকায় ট্রাক নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে পৃথ্বীরাজকে ঘুরতে দেখে তাকে বিস্কুট খাওয়াতে ইচ্ছা হয় তাঁর। ট্রাক থামিয়ে সঙ্গে রাখা বিস্কুট নিয়ে হাতিটির কাছে চলে আসেন তিনি। বন দফতরের এক আধিকারিকের কথায় অশোকবাবুকে হাতির কাছে আসতে বারণ করেন তিনি। এমনকী তাঁকে ফিরে যেতে বলেন হাতির পিঠে থাকা মাহুতও। নিষেধ সত্ত্বেও পৃথ্বীরাজের গায়ে হাত বোলাতে এগিয়ে আসেন অশোকবাবু। কিন্তু অচেনা এক জনকে এগিয়ে আসতে দেখে হঠাত্ই ক্ষেপে যায় সে। প্রথমে লাথি মেরে অশোকবাবুকে মাটিতে ফেলে পরে শুঁড়ে তুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল থেকে পৃথ্বীরাজকে সরিয়ে আবার জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যান বনকর্মীরা। তবে হাতিটি এখন স্বাভাবিক আছে বলেই বন দফতর সূত্রে খবর।
পৃথ্বীরাজের মাহুত জানিয়েছেন, এই ধরনের কুনকিদের জন্য বিশেষ খাবার থাকে। বাইরের কোনও খাবার এদের দেওয়া নিষেধ। তাই হয়তো অচেনা অশোক শেরপাকে হাতে খাবার নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তার। সঠিক উত্তর খুঁজে পাননি বন দফতরের আধিকারিকেরা।