হাতির হামলার প্রতিবাদে চলছে অবরোধ। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
উন্মত্ত দাঁতালের ভয়াল হানায় মৃত্যু হল তিন জনের। জখম হয়েছেন আরও তিন জন। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার ব্লকের অন্তর্গত কাঠামবাড়িতে। শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং বনদফতর সূত্রে খবর, কাঠামবাড়ির এক দিকে কাঠামবাড়ি জঙ্গল অন্য দিকে আপালচাঁদ জঙ্গল। দু’টি জঙ্গলই বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের অন্তর্গত।
এ দিন সকালে হঠাত্ই একটি দলছুট দাঁতাল আপালচাঁদ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হানা দেয় ঘনবসতিপূর্ণ কাঠামবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায়। বিশালাকার হাতিটিকে বাজারের মধ্যে দেখে মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষজনের মধ্যে। হাতিটিও সামনে যাকে পায় তাকেই শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পিষে মারে। হাতির হামলায় মৃত্যু হয় তিন জনের। আহত হন তিন জন। হতাহতদের প্রথমে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে এবং পরে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাঁতালটির হামলায় মৃত্যু হয় দু’টি পোষা মোষেরও। জখম হয়েছে একটি গরু এবং একটি মোষ। পাঁচটি বাড়িও ভাঙচুর করে হাতিটি। ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালানোর পর সেটি ঢুকে যায় উল্টো দিকের কাঠামবাড়ির জঙ্গলে।
ঘটনার প্রতিবাদে এর পর পুর্ত দফতরের রাস্তা অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। আপালচাঁদ জঙ্গল লাগোয়া বন দফতরের রেঞ্জ অফিসও ভাঙচুর করেন তাঁরা। বন দফতরের হাতি তাড়ানোর স্কোয়াড এবং ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরির দাবিতে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে যান বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের এডিএফও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আলোচনা চলছে। সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে।” ঘটনাস্থলে গিয়েছে মালবাজার থানার পুলিশও।