মদন মিত্রকে এ বার জেরা করতে চায় সিবিআই

সারদা কেলেঙ্কারিতে এ বার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারীরা তদন্তকারীদের এই বক্তব্যের সমর্থন মিলেছে সিবিআইয়ের অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হার কথাতেও। এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে এই প্রসঙ্গেই অধিকর্তা বলেন, “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা গুটিয়ে আনছি। অফিসারদের পেশাদার মনোভাব নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ২০:৪১
Share:

সারদা কেলেঙ্কারিতে এ বার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

তদন্তকারীদের এই বক্তব্যের সমর্থন মিলেছে সিবিআইয়ের অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হার কথাতেও। এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে এই প্রসঙ্গেই অধিকর্তা বলেন, “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা গুটিয়ে আনছি। অফিসারদের পেশাদার মনোভাব নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।”

ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে মদন মিত্র একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পান। তবে কবে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মদনবাবু একটু সুস্থ হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও এ দিন সারদা প্রসঙ্গে সিবিআইকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। এ দিন বসিরহাটে মুকুলবাবু বলেছেন, “বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছিল। কংগ্রেস আমলে নরেন্দ্র মোদীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ১৯ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিবিআই। ফলে সিবিআই যে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, তা সকলের জানা।”

Advertisement

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা অবশ্য বলছেন, গত দু’দিনে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে সিবিআইয়ের হাতে যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার ভিত্তিতেই এ বার পরিবহণ মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এসেছে। বৃহস্পতিবার মদনের ঘনিষ্ঠ রেজাউল ওরফে বাপি করিমের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ওই দিন দুপুরে সল্টলেকে ডেকে জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবার দুপুরেও বাপিকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে বাপি অবশ্য নিজেকে ও মন্ত্রীকে সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কহীন বলেই দাবি করেছেন।

এ দিন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই তাঁকে আর নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি। বিচারক তাঁকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআইয়ের বক্তব্য, সেবি এবং আরবিআই অফিসারদের সঙ্গে সুদীপ্তর তরফে মধ্যস্থতা করতেন নিতু। তাঁর কাছ থেকে আরবিআইয়ের একাধিক কর্তার নাম জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে ধৃত ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালের অফিস থেকে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে যেখান থেকে বহু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে।

অসমে মনোরঞ্জনা সিংহকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই অফিসারেরা এ দিন তাঁর খারগুলি ও রুক্মিণীগাঁওয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান। তল্লাশি চালানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি জি এম শ্রীবাস্তবের বাড়িতেও। এ দিন মনোরঞ্জনাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শুক্রবার অসমের ছাত্র সংগঠন আসুর সভাপতি শঙ্করপ্রসাদ রায় ও হিমন্তর স্ত্রীর মালিকানাধীন চ্যানেলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা তথা রাজীব বরার বাড়িতেও এ দিন তল্লাশি চালায় সিবিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন