ঘন কুয়াশায় ঢাকা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির। ছবি: এএফপি।
বড়দিনে দেশজুড়ে চলছে ঠান্ডার আমেজ। জবরদস্ত উত্তরে হাওয়ায় হাড় কাঁপাচ্ছে শীত। কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নেমে যাওয়ার ফলে শৈত্য প্রবাহের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শীতের জেরে কাবু হয়ে পড়েছে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ গোটা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারত। তুষারপাত হচ্ছে হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে।
অন্য দিকে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বড়দিন উদযাপন করছেন দিল্লিবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে কুয়াশার জেরে বিপর্যস্ত রেল এবং আকাশপথ। এ দিন সকালে প্রায় ৯০টি ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ১০টি বিমান। নির্ধারিত সময়ের থেকে ৮ ঘণ্টা পরে ছেড়েছে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-নিউ দিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস ছাড়ে ৭ ঘন্টা দেরিতে। জম্মু তাওয়াই-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট দেরি হয় বলে রেল সূত্রে খবর।
পঞ্জাবের অমৃতসরে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঠান্ডা হাওয়া এবং কুয়াশের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানার বহু জায়গা। চণ্ডীগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যে সবথেকে বেশি ঠান্ডা পড়ে রেকর্ড গড়েছে হরিয়ানার নারনাউল। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি নীচে রয়েছে বলে অবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রার পারদ নামছে হিসারেও। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।