অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন শ্যাম-সেল কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অলোক দাস এবং চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আসানসোলের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে আত্মসমর্পণ করেন ওই দুই নেতা। ১৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এ দিন তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। শ্যাম কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ জুলাই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ জামিনযোগ্য কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৭ (কোনও অপরাধের উদ্দেশ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ), ৩৮৫ (ভয় দেখানো), ৫০৬ (অশালীন ভাষা ব্যবহার) এবং ৩৪ (একই অভিসন্ধিতে একাধিক ব্যক্তি কোথাও জড়ো হওয়া) ধারায় মামলা করে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ আদালত চত্বরের বাইরে গাড়ি থেকে নামেন নীল জিনস ও সাদা শার্ট পরা অলোক দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জনা তিরিশেক সমর্থক। ছিলেন চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জুলাই মাসের ১৬ তারিখ ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে শ্যাম কর্তৃপক্ষ তোলাবাজি এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন। প্রাথমিক ভাবে জামুড়িয়া থানা সেই অভিযোগ নিতে রাজি না হলেও পরে তারা তা নেয়। এর পর ওই দুই নেতা-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে শো-কজ করা হয়। পাশাপাশি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় জানান, ওই দু’জনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে দল থেকে। ঘটনাচক্রে তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, একটা ছোট ঘটনা ঘটেছে। তিনি অপপ্রচারের অভিযোগও তোলেন।