চা শ্রমিক সংগঠনগুলির ধর্মঘটের জেরে বুধবার বিপর্যস্ত হল উত্তরবঙ্গের তিন জেলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এ দিন আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলা-সহ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এবং উত্তরদিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমায় ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিক সংগঠনগুলির জয়েন্ট ফোরাম। সাধারণ ধর্মঘটের কারণে কোথাও যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
এ দিন, ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে সড়ক এবং রেল পরিষেবায়। তবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাস্তাঘাট ছিল সুনসান। ডুয়ার্সের রাস্তায় হাতেগোনা সরকারি বাস ছাড়া আর কোনও যানবাহনের দেখা মেলেনি। সকাল ৫টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত থমকে হয়ে যায় রেল পরিষেবাও। বিভিন্ন প্যাসেঞ্জার এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সারণিতে পরিবর্তন করা হয়। সরকারি অফিসে কর্মীদের হাজিরাও ছিল খুবই কম।
এ দিন যৌথমঞ্চের ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নেমে গ্রেফতার হন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য-সহ ৫১ জন বাম কর্মী। পরে তাঁদের ব্যাক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, গণ্ডগোল বাধানোর চেষ্টার অভিযোগে মেখলিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। যৌথমঞ্চের ৫৩ জন সদস্যকে জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, এ দিনের ধর্মঘট সফল হয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি জানিয়েছে। শাসক দল যদিও সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এ দিন বলেন, “ওদের ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ হয়েছে।”