স্ত্রী, মেয়ে এবং শ্যালিকাকে খুনের চেষ্টায় হাসুয়া দিয়ে তাঁদের এলোপাথাড়ি কোপাল এক ব্যক্তি। তার নাম ইনসার শেখ। মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই তিন জনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের নাম আরেফা বিবি (৩২), হাসিনা খাতুন (১৩) এবং সেরিনা বিবি। ঘটনার পর থেকে ইনসার পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৬ আগে ডোমকলের বর্তনাবাদ গ্রামের ইনসার শেখের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আরেফা বিবির। কিন্তু তিন বছরের মধ্যেই স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে শিশুকন্যা হাসিনাকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান আরেফা। তখন থেকে তিনি মেয়েকে নিয়ে ওখানেই থাকেন। ইনসার ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ইদানীং সে এলাকারই এক মহিলার সঙ্গে থাকত। বাপের বাড়িতে চলে যাওয়ার পর আরেফা খোরপোষের দাবিতে আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলা নিষ্পত্তির দিকে বলে আরেফার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। মামলা চলাকালীন ইনসার মাঝেমাঝেই আরেফার বাপের বাড়ি গিয়ে অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। খোরপোষের পাশাপাশি এ বিষয়েও মামলা ঝুলছিল তার নামে। এই মামলার প্রধান সাক্ষী তার মেয়ে হাসিনা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল। আরেফার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মামলায় খোরপোষ দেওয়ার পাশাপাশি ইনসারের শাস্তির রায়ও দিতে পারেন বিচারক। সেই রাগ থেকেই এই কাণ্ড করেছে সে।
ওই দিন রাত আটটা নাগাদ হঠাৎই আরেফাদের বাড়িতে চড়াও হয় ইনসার শেখ। সেই সময় ওই পরিবারে কোনও পুরুষ সদস্য ছিলেন না। নমাজের সময় হওয়ায় এলাকার প্রায় সমস্ত পুরষই মসজিদে ছিলেন বলে পুলিশ জানায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইনসার হাসুয়া দিয়ে স্ত্রী আরিফা, মেয়ে হাসিনা এবং শ্যালিকা সেরিনা বিবিকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।