দীপাবলির রোশনাই নয়, তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কোবানে। ছবি: এএফপি।
কোবানেতে লড়াই তীব্র হল। দু’দিন আপাত শান্তির পরে সোমবার রাত থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিরা আবার তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে। পাশাপাশি, এ বার সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের গতিবিধি নজরে রাখতে ড্রোন নামানোর কথা জানাল ব্রিটেন।
লাগাতার মার্কিন বোমাবর্ষণ ও কুর্দদের আক্রমণে সাময়িক ভাবে পিছু হঠলেও সোমবার রাত থেকে আবার কোবানেতে আক্রমণ শুরু করে আইএস জঙ্গিরা। সোমবার রাতে কোবানের উত্তর দিক থেকে হামলা শুরু হয়। পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কোবানে। এর পরেই মার্কিন বায়ুসেনা পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। কুর্দ মিলিশিয়াও প্রতিরোধ করতে শুরু করে। সারা রাত তীব্র লড়াই চলে।
কুর্দ মিলিশিয়াদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইএস জঙ্গিদের তারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কিন্তু প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে ভারী অস্ত্রের আশু প্রয়োজন। অন্য দিকে, ইরাকের কুর্দ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোবানের কুর্দদের সাহায্য করতে তারা মিলিশিয়া পাঠাতে রাজি। কিন্তু এখনও তাদের কাছে এমন কোনও অনুরোধ আসেনি। সোমবার তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোবানের কুর্দদের সাহায্য করতে ইরাক থেকে কুর্দ পেশমেরগা যোদ্ধাদের সেখানে যেতে সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে।
মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কম্যান্ড জানিয়েছে, রবিবার ও সোমবার মিলিয়ে কোবানেতে ছ’বার হামলা করা হয়েছে। যুদ্ধবিমান, বোমারুবিমান এবং ড্রোন এই হামলায় অংশ নিয়েছিল। প্রধানত আইএস অবস্থান ও তাদের মর্টারের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চলে। অন্য দিকে, এ বার সিরিয়াতেও আইএস-এর উপরে নজরদারি চালাবে ব্রিটেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালান জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই সিরিয়ায় নজরদারি শুরু হবে। আকাশপথে ড্রোন আইএস-এর গতিবিধির উপরে নজরদারি চালাবে। তবে ড্রোন কোনও হামলায় অংশ নেবে না। এখন ব্রিটিশ বায়ুসেনা ইরাকে আইএস বিরোধী অভিযানে অংশ নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ইরাকের সরকারের অনুরোধে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এই অভিযানে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়। তাই সিরিয়ায় কোনও অভিযানে অংশ নেওয়ার আগে আবার পার্লামেন্টের অনুমতি নিতে হবে বলে ফ্যালান জানিয়েছেন।