সারদা-কাণ্ডে ধৃত সাংসদ সৃঞ্জয় ভর্তি এসএসকেএম-এ

এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল ধৃত তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসুকে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা এবং স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথার কারণে সোমবার বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত সাংসদকে রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৪:০১
Share:

—ফাইল চিত্র।

এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল ধৃত তৃণমূল সাংসদ সৃঞ্জয় বসুকে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা এবং স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথার কারণে সোমবার বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত সাংসদকে রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিত্‌সক শিবানন্দ দত্তের তত্ত্বাবধানে সৃঞ্জয় আপাতত ওই বিভাগের এক নম্বর কেবিনে রয়েছেন। রক্তচাপ বেশি থাকার পাশাপাশি তাঁর হাড়েরও কিছু সমস্যা রয়েছে বলে চিকিত্‌সকেরা জানিয়েছেন।

Advertisement

আলিপুর সেন্ট্রাল জেল সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই ধৃত সাংসদ তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা জেল কর্তৃপক্ষকে জানান। স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথার পাশাপাশি সৃঞ্জয় ওই রাতে জানান তাঁর হৃদযন্ত্রেও কিছু সমস্যা হচ্ছে। তিনি এ-ও বলেন, সম্প্রতি তাঁর দু’বার মাথা ঘুরে যায়। সেই সময় চার দিক অন্ধকারও ঠেকে। এ সব জানার পর জেল কর্তৃপক্ষ আর দেরি করেননি। ধৃত সাংসদকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম-এ। রক্তচাপ ১৫০/১১০ থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সৃঞ্জয়কে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেইমতো তাঁকে শিবানন্দবাবুর তত্ত্বাবধানে রেখে চিকিত্‌সা শুরু করা হয়। চিকিত্‌সকেরা জানান, হাসপাতালে ভর্তির সময় তাঁর রক্তচাপ বেশি ছিল। চিকিত্‌সার প্রয়োজনে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। তার পর সব দিক খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ২১ নভেম্বর সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর দু’বার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে। দু’বারই ধৃত সাংসদ আদালতের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু, তাঁর আবেদন অগ্রাহ্য করে প্রথম বার, অর্থাত্‌ ২২ নভেম্বর আদালত তাঁকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই মেয়াদ পেরনোর পরে গত ২৯ নভেম্বর ফের আদালতে তোলা হলে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। প্রথম বার সৃঞ্জয়কে আদালতে হাজির করানো হলে স্পন্ডিলাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং সুগার-সহ নিজের বেশ কয়েকটি অসুস্থতার কথা বিচারককে জানিয়েছিলেন তিনি। সে কথা শুনে সিবিআই হেফাজতে থাকার সময়ে প্রত্যেক দিন সরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিত্‌সককে দিয়ে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন বিচারক। সেই নির্দেশ মেনে ওই ক’দিন তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এর পরে দ্বিতীয় বার আদালতে হাজির হয়ে নিজেই এই শারীরিক সমস্যা নিয়ে সওয়াল করেন সৃঞ্জয়। স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যার জন্য ওই দিন তিনি কলার বেল্ট লাগিয়ে আদালতে এসেছিলেন। সে দিন তিনি আদালতে জানান, বয়স কম হলেও তাঁর শারীরিক নানা সমস্যা রয়েছে। তিনি সে দিন রক্তচাপ ওঠানামার কথাও জানান। তার পরে ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না, সেই সমস্যাগুলি নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি করা হল তাঁকে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন