মাত্র চার ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হল উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নতুন শহর এলাকায় এবং বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের পুরনো এলাকাগুলিতে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলাশাসক সন্ধ্যা তিওয়ারি বলেন, “বাজার থেকে সাধারণ মানুষ যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে পারেন সেই উদ্দ্যেশেই কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।” পাশাপাশি, ব্যবসাদারদেরও ওই সময়ে দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত শনিবার সকালে একটি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সহারনপুরের কুতুবশের এলাকা। ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩৩ জন। এক ম্যাজিস্ট্রেট-সহ ৫ জন পুলিশকর্মীও আহত হন ওই দিন। এঁদের মধ্যে এক কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মোট ২২টি দোকান এবং ১৫টি গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬টি জায়গায় কার্ফু ঘোষণা করে প্রশাসন। এমনকী, দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। যদিও রবিবার নতুন করে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়।
ওই দিন রাতে টেলিফোনে প্রচুর মানুষ অশান্তির অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তবে সেই সব অভিযোগের ৯৬ শতাংশই ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি। এ দিন জেলাশাসক জানান, কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলে নেওয়া হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও রকম ফাঁক রাখা হবে না। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নজরদারি চালানো হবে ওই চার ঘণ্টায়। সহারনপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ পাণ্ডে বলেন, “পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভাবে স্বাবাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” পাশাপাশি তাঁর দাবি, গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্ররোচনা দেওয়ার মূল অভিযুক্তকে, পুলিশ চিহ্নিত করেছে। ওই ব্যক্তিতে খুব শীঘ্রই আটক করা হবে বলেও জানিয়েছেন এসপি। দোষীদের কেউই রেহাই পাবে না বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। রবিবার একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি মুকুল গয়ালের কণ্ঠেও। তিনি জানান, ঘটনায় যে বা যারা জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।