’৯৩-র পরে বেআইনি ভাবে কয়লা বন্টন কেন্দ্রের, রায় সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৪ ১৯:১২
Share:

কেন্দ্রে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও কয়লা-ভূত পিছু ছাড়ছে না ইউপিএ-র! ইউপিএ জমানায় কয়লা ব্লক বণ্টনে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলে সোমবার মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, ১৯৯৩ থেকে ২০১০— এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রের বণ্টন করা সমস্ত কয়লা ব্লকের লাইসেন্সও বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢার নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়।

Advertisement

নিলামের মাধ্যমে কয়লা ব্লক বণ্টন বাধ্যতামূলক হয় ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে। এ দিন সুপ্রিম কোর্ট বলে, এর আগে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত সমস্ত কয়লা ব্লক বেআইনি ভাবে বণ্টন করা হয়েছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না-করে কোনও রকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই ওই সময়কালে কয়লা ব্লক বণ্টন হয় বলেও মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ’৯৩ থেকে ২০১০— এই সতেরো বছরের মধ্যে ১৪২টি কয়লা ব্লক বণ্টন করে কেন্দ্র। এর মধ্যে ৬৭টি কয়লা ব্লক বণ্টন করা হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে। বাকি ৭৫টি ব্লক বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।

২০১২-তে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটরস জেনারেলের (সিএজি) রিপোর্ট অনুযায়ী, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তুলনায় টন প্রতি ২৯৫ টাকা কম দামে প্রায় ৪৪০০ কোটি টন কয়লা তোলার অধিকার দেওয়া হয়। অভিযোগ, কয়লা ব্লক বণ্টনে দুর্নীতিতে সরকারি কোষাগারের ক্ষতি হয়েছে এক লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। সে বছরই কয়লা ব্লকে দুর্নীতির অভিযোগে এক সমাজসেবী সংস্থার সঙ্গে মিলিত ভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী এম এল শর্মা। এর পরে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

Advertisement

এ দিনের এই রায়ের ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ’৯৩-২০১০-এ বন্টন করা ব্লকগুলির ভাগ্য। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার ফের শুনানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন