ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট যত এগিয়ে আসছে, আক্রমণের ফলা শাণিত হচ্ছে আরও।
বিজেপি-র তরফে সিদ্ধার্থনাথ সিংহ উড়ালপুল-কাণ্ডকে যে ভাবে সেতুগেট-সিন্ডিকেট কেলেঙ্কারি হিসাবে তুলে ধরলেন শনিবার, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য তা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। তার চেয়েও তীক্ষ্ণ আক্রমণ এল আরও অনেক বেশি হেভিওয়েট নেতার কাছ থেকে। কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী যে ভাবে সারদা থেকে ‘নারদা’ সবটাকে ধরে দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন, তুললেন লাল-তেরঙা পতাকার বিরাট ভিড়কে সাক্ষী রেখে, তা বেনজির। এবং গাঁধী পরিবারের একদা ঘনিষ্ঠ মমতার জন্য সুখদ বার্তাও নয়।
কিন্তু এই দ্বিমুখী আক্রমণ তো প্রত্যাশিত। তৃতীয় ফলাটা একেবারেই আচমকা এসে পড়েছে। নারদ-কাণ্ডের ভিডিও ক্লিপের বিস্তারিত অংশ ধীরে ধীরে প্রকাশ করছেন ওই সংস্থার কর্তারা। আর একের পর এক বেরিয়ে আসছে নানান ‘কীর্তি’। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে যে কথোপকথন প্রকাশ পেল, তা দল তো বটেই, হাকিম সাহেবের জন্যও স্বস্তিদায়ক নয়। ছাপার অযোগ্য শব্দগুলোর পরেও যা কিছু ছাপা যাচ্ছে, সেই সব শব্দই এখন তির হয়ে ঘুরে আসছে তৃণমূলের শিবিরের দিকে।
প্রতিপক্ষ শিবিরের আক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃতীয় তির একটু বেশিই তীক্ষ্ণ হয়ে দাঁড়াল। আত্মীয়দের ভিড় থেকে ছুটে আসছে যে এই তির!