বাঁকুড়ার আদালতে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের ময়দানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মাঝেই এ বার দু’পক্ষের লড়াই গড়াল আদালতে। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে বাঁকুড়া জেলা আদালতে মামলা বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের। আগামী দিনে অরূপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হুঁশিয়ারি বিজেপি প্রার্থীর।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে আগামী ২৫ মে ভোট। দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল এবং বিজেপি শিবির একে অপরকে আক্রমণ তীব্র করছে। এ বার নির্বাচনের ঠিক মুখে সেই দ্বন্দ্বের জল গড়াল আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সকালে একদল আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজির হয়ে নির্দিষ্ট ফৌজদারি ধারায় তৃণমূল প্রার্থী অরূপের বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক মামলা করেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ। মামলা দায়ের করার পর সুভাষ বলেন, ‘‘অরূপ চক্রবর্তী সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা নিয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ। যখন-তখন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রকাশ্যে এ ভাবে যা খুশি বলতে পারেন না। এই ঘটনার জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) অরূপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী দু’টি পৃথক মামলা করা হয়েছে।’’
মামলা নিয়ে পাল্টা বিজেপি প্রার্থী সুভাষকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের অরূপ। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘মানহানির মামলার নোটিসের জবাব আমি ইতিমধ্যেই দিয়েছি। সম্প্রতি সুভাষ সরকারের পরিবারের মালিকানাধীন নার্সিংহোমে এক প্রসূতির ভুল চিকিৎসা হয়। যার জেরে ওই প্রসূতি মাত্র তিন দিনের শিশুকে রেখে মারা যান। ঘটনায় সুভাষের ছেলের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। তা ছাড়া সুভাষের পরিবারের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তা আদালতে প্রমাণও হয়। অভিযুক্ত ছিলেন সুভাষ সরকার ও তাঁর ভাই। সেই ঘটনার কথা আমি গতকাল (বুধবার) প্রকাশ্যে নিয়ে আসি। সেই গাত্রজ্বালা থেকেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সুভাষ সরকার।’’