Lok Sabha Election 2024

বোমা বাঁধতে গিয়ে উড়ল হাত, রাস্তায় ছড়িয়ে আছে আঙুল! ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ

পুলিশ পৌঁছতে পৌঁছতে এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। তার পর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় চিরুনিতল্লাশি। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বড়ঞা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪৩
Share:

বোমায় উড়ল হাত, রাস্তায় পড়ে আঙুল! — নিজস্ব চিত্র।

রাতের অন্ধকারে বন্ধ স্কুলের পিছনে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! বোমার ঘায়ে এক জনের হাতের অংশ উড়ে গিয়েছে। গুরুতর জখম আরও এক জন। সকালে স্থানীয়রা হাতের কয়েকটি আঙুল ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। বুধবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও এক জন দুষ্কৃতীকেও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার মোনাইকান্দারা গ্রামের বেশ কয়েক জন যুবক স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের জঙ্গলে সকেট বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বাইরে থেকে আসা বোমা তৈরির দুই কারিগর। বোমার তীব্রতা বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার থেকেও বেশি পরিমাণ বারুদ ব্যবহার করা হচ্ছিল। অতিরিক্ত গরমে যা থেকে বিস্ফোরণ ঘটে বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে গুরুতর জখম হন দুই যুবক। মোনাইকান্দারা গ্রামেরই বাসিন্দা জিন্নাত আলি শেখ নামে ১৯ বছরের এক কলেজপড়ুয়া যুবকের হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল উড়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। সেই আঙুলই রাস্তায় ছড়িয়ে আছে বলে ধারণা গ্রামবাসীদের। পুলিশ পৌঁছতে পৌঁছতে এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘিরে রাখে গোটা এলাকা। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, যে স্কুলের পিছনের জঙ্গলে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, ভোটের সময় সেখানেই বসে ভোটকেন্দ্র।

স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের পরে আহতদের নিয়ে এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করলেও, আহত জিন্নাত এখন কোথায়, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে চায়নি তাঁর পরিবার। জিন্নাতের আত্মীয় মোজাম্মেল মণ্ডল বলেন, ‘‘খাওয়াদাওয়া সেরে জিন্নাত বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার কিছু ক্ষণ পরে প্রচণ্ড শব্দ হয়। খবর পাই বোমা বিস্ফোরণে অনেকে আহত হয়েছে। জিন্নাতের হাত উড়ে গেছে। আমরা গিয়ে কাউকে দেখতে পাইনি। কোথায় আছে, কারা নিয়ে গিয়েছে কিছুই জানি না। কলেজপড়ুয়া একটি ছেলেকে প্রলোভন দেখিয়ে এ রকম খারাপ কাজে যারা নিযুক্ত করেছে তাদের আগে গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু কোনও বোমা উদ্ধার হয়নি। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করাই এখন পুলিশের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণত, কেউ আহত হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রের মতে, বোমা ফেটে আহত হয়েছেন অন্তত দু’জন। কিন্তু এলাকার কোনও হাসপাতালেই বিস্ফোরণে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়নি। ফলে পুলিশের কাছেও আহতদের চিহ্নিত করা বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন