Lok Sabha Election 2024

রামনবমী নিয়ে তরজায় দিলীপ-কীর্তি

মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী কীর্তির সাইনাসের সমস্যা বাড়ায় রাতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২০
Share:

তৃণমূল প্রার্থী কির্তী আজাদ। নিজস্ব চিত্র।

রামনবমী নিয়েও তরজায় জড়ালেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের দুই প্রার্থী কীর্তি আজাদ ও দিলীপ ঘোষ। বুধবার জেলা জুড়ে রামনবমী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেয় বিভিন্ন সংগঠন। বিজেপি এবং তৃণমূল, দু’দলের নেতাদের অনেক কর্মসূচির সামনে থাকতে দেখা গিয়েছে। পানাগড়ে লাঠিখেলায় মেতেছেন দিলীপ। তবে জেলায় কোনও শোভাযাত্রায় নিয়ম ভাঙার ছবি সামনে আসেনি বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

Advertisement

মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী কীর্তির সাইনাসের সমস্যা বাড়ায় রাতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়। বুধবার চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে দলীয় কোনও কর্মসূচি রাখেননি তিনি। তবে এ দিন প্রথমে ভিড়িঙ্গি কালীবাড়ি, তার পরে পানাগড়ের হনুমান মন্দিরে সস্ত্রীক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কীর্তি। সেখানে মন্দিরের কর্মকর্তাদের ‘জয় শ্রীরাম’-এর পরিবর্তে ‘জয় সিয়ারাম’ বলার পরামর্শ দেন তিনি। পরে তিনি বলেন, “জয় শ্রীরাম বলায় ভুল কিছু নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, সনাতন ধর্মে মা সব সময় আগে থাকেন। যেমন, গৌরীশঙ্কর, রাধাকৃষ্ণ। সে ভাবেই সীতারাম। ওরা (বিজেপি) মাতৃজাতি, নারীজাতির সম্মান করতে জানে না।” দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবি, “আমরা রামের ভক্ত। রাম রাজা ছিলেন। আমরা রাজনীতি করি। মন্দিরে পুজোর পরে সীতারাম বলা হয় ধর্মীয় কারণে। আমরা রাজনৈতিক কারণে শ্রীরাম বলি। উনি ইতিহাস, ভূগোল জানেন না। তৃণমূলের অল্পবুদ্ধির লোকেরা যা বুঝিয়েছেন, তাই বলছেন।”

দিলীপ এ দিন সকালে দুর্গাপুরের কাদা রোডে রামনবমীর শোভাযাত্রায় যোগ দেন। সঙ্গে ছিলেন দলের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। পরে শহরের মেন গেট, ডিএসপি টাউনশিপের চণ্ডীদাস এলাকায় রামনবমীর পুজোয় যান দিলীপ। ট্রাঙ্ক রোড এলাকায় হুডখোলা গাড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় ছিলেন। এক সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তরমুজ খেতেও দেখা যায়। তিনি বলেন, “শরীর শীতল রাখতে তরমুজ খাই। কিন্তু তরমুজের রাজনীতি করি না। আমাদের ভিতরেও গেরুয়া, বাইরেও গেরুয়া।” বিকেলে পানাগড় বাজারে শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে লাঠি খেলেন তিনি। দেখতে ভিড় জমে।

Advertisement

এ দিন অন্ডালে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে শোভাযাত্রা হয়। সুরেন্দ্র বলেন, ‘‘অযোধ্যায় মন্দির তৈরি করে বিধি অনুসারে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। আজ দীর্ঘ আন্দোলনের বিজয় উৎসবও বটে।’’ তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পাণ্ডবেশ্বরে ডালুরবাঁধ কোলিয়ারি এলাকায় শোভাযাত্রায় সম্প্রীতির ছবি দেখা যায়।

রানীগঞ্জের দামালিয়ায় রামমন্দির কমিটির উদ্যোগে ৫০১ জন মহিলা দামোদর থেকে মন্দির পর্যন্ত কলসে জল নিয়ে আসেন। ৩০ জন মহিলা ঢাক বাজান। রানিগঞ্জে বল্লভপুরের ‘রাম মহোৎসব কমিটি’ ও ‘শিব মন্দির সেবা সমিতির’ উদ্যোগে শোভাযাত্রা হয়। সীতারামজি ভবনে পুজো হয়। আসানসোলেও বিভিন্ন সংগঠনের তরফে শোভাযাত্রা করা হয়।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘জেলার প্রতিটি ব্লকে শোভাযাত্রা করা হয়েছে।’’ বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় জানান, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ৭৩টি জায়গায় এলাকাবাসীর আয়োজিত শোভাযাত্রায় দলের নেতা-কর্মীরা শামিল হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন