Lok Sabha Election 2024

এনসিপির নাম এবং প্রতীক অজিতকে কেন? সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি শরদের, মিলল আশ্বাসও

১৯৯৯ সালের জুন মাসে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন শরদ। গড়েছিলেন নতুন দল এনসিপি। আড়াই দশক পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সেই দলই তাঁর হাতছাড়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৩
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ার আর দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহার করতে পারবেন না! গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শরদের ‘বিদ্রোহী’ ভাইপো অজিত পওয়ারকে ‘আসল এনসিপি’ বলে ঘোষণা করে কমিশনের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল শরদগোষ্ঠী। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন। বিবেচনার আশ্বাসও দিয়েছেন।

Advertisement

শরদের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সোমবার থেকে ধারাবাহিক শুনানির জন্য আবেদন জানান। নির্বাচন কমিশনের রায়ের পরে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরভেকর অজিত গোষ্ঠীকে ‘এনসিপি পরিষদীয় দল’ হিসাবে মর্যাদা দেন। তবে তিনি জানান, শরদ অনুগত বিধায়কদের পদ খারিজ করা হবে না। স্পিকারের ওই ঘোষণার পরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল শরদ শিবির।

১৯৯৯ সালের জুন মাসে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন শরদ। গড়েছিলেন নতুন দল এনসিপি। আড়াই দশক পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সেই দলই তাঁর হাতছাড়া হয়েছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শরদগোষ্ঠীর নতুন নাম হবে ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি-শরদচন্দ্র পওয়ার’। তবে দলের নির্বাচনী প্রতীক পরে বরাদ্দ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের আবেদন খারিজ করে দিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীকে দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক তির-ধনুক ব্যবহারের অধিকার দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।শিন্ডের মতোই মহারাষ্ট্রের অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতও এখন বিজেপির সহযোগী। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুলাই অজিতের বিদ্রোহের পরেই এনসিপির অন্দরের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে পরিষদীয় দলের অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একাংশও তাঁর দিকে যান। শেষ পর্যন্ত দলের নিয়ন্ত্রণ গিয়েছে তাঁর হাতেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন