Shatrughan Sinha

অন্দরের কথা প্রকাশ্যে নয়, বার্তা তৃণমূলের সভায়

এ দিনের সভায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনার সরব হন তৃণমূল নেতারা। সেই সঙ্গে, দলের শৃঙ্খলারক্ষা ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কোনও ভাবে প্রাধান্য না দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ০৯:০৯
Share:

রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভায় শত্রুঘ্ন সিন্‌হা। — নিজস্ব চিত্র।

ব্রিগেডে ‘জনগর্জন’ সভা সফল করার ডাক দিয়ে সোমবার আসানসোলে বড় কর্মিসভা করল তৃণমূল। জেলার নেতা-কর্মীদের আমন্ত্রন জানানো হয় সভায়। ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদার, তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার প্রমুখ। লোকসভা ভোটের মুখে দলের শক্তি প্রদর্শনই যে এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য, এ দিন বক্তারা তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রশ্রয় না দেওয়ার বার্তাও দেওয়া হয় সভা থেকে। দলের অন্দরের বিষয় নিয়ে বাইরে কথা না বলার বার্তাও দেওয়া হয় কর্মীদের।

Advertisement

এ দিনের সভায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনার সরব হন তৃণমূল নেতারা। সেই সঙ্গে, দলের শৃঙ্খলারক্ষা ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কোনও ভাবে প্রাধান্য না দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়। তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘দলীয় কর্মসূচি শুধু জেলা নেতৃত্ব সফল করতে পারবেন না। অনেক ক্ষেত্রে ব্লক ও অঞ্চল নেতাদের উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে না। দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলা যাবে না। কেউ এই নির্দেশ লঙ্ঘন করলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’

জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, এ রাজ্যে প্রায় সাড়ে ন’শো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তাতে আপত্তি নেই রাজ্য সরকার বা তৃণমূলের। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এক পর্যায়ে নির্বাচন করা হবে না কেন? আসলে বিজেপি চায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারী বুটের শব্দ ও বন্দুকের নলের সামনে এ রাজ্যের ভোটারদের দাঁড় করিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ভোট করাতে। ওদের এক হাতে রয়েছে টাকার ঝুলি, অন্য হাতে ইডি-সিবিআই। এই দুইয়ের জোরে ওরা ভোটে জিততে চাইছে।’’ তাপস রায়ের দলত্যাগ প্রসঙ্গে এ দিন জয়প্রকাশের বার্তা, ‘‘দল করার সময়ে মান-অভিমানের কোনও ভূমিকা থাকে না। সে সবের ঊর্ধ্বে উঠে দলের নীতি-আদর্শের লড়াই করতে হয়।’’

Advertisement

বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করার পরেও পবন সিংহের সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে এ দিনের সভায় মন্ত্রী মলয় ঘটকের কটাক্ষ, ‘‘উনি বুঝেছেন, ভোটে দাঁড়ালে চার লক্ষ ভোটে হারবেন। তাই পালিয়েছেন।’’

বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘ওঁদের নিজেদের নেতারাই যে ভাবে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাতে অন্যের দিকে না তাকিয়ে ওঁরা আগে নিজেদের ঘর সামলান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন