ব্রিগেডে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
তাঁর নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে রবিবার বিকেল থেকেই। কবে তিনি আসবেন, এ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে জল্পনাও চলছিল। হুগলি কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, আগামী ১৬ মার্চ তিনি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে আসছেন। প্রথম দিন, জমি আন্দোলনের ‘আঁতুড়ঘর’ সিঙ্গুর অথবা ধনেখালিতে পা রাখবেন তিনি।
সোমবার এক মোবাইল সাক্ষাৎকারে রচনা তাঁর হুগলিতে আসার কথা জানান। একইসঙ্গে দাবি করেন, তারকা জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় দেখা মেলে না বলে সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষেত্রে ক্ষোভের কথা তিনি শুনেছেন। তবে, তাঁর ক্ষেত্রে তা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘চুঁচুড়ায় আমায় থাকার জন্য ভাড়াঘর খোঁজা চলছে। যাতায়াত থাকবে, জিতলে কেন্দ্রে আসবই। ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ রেখে চলব। আমাকে নিয়ে কারও কোনও ক্ষোভ থাকবে না।’’
তৃণমূলের দাবি, বিগত পাঁচ বছরে এই কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সে ভাবে দেখা মেলেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের। ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়বে। তাই রচনার লড়াই অনেক সহজ। তিনি ২ লক্ষের বেশি ভোটে জিতবেন বলেও দলের কেউ কেউ দাবি করছেন।
রচনা অবশ্য লড়াই সহজ বলে মানছেন না। তিনি প্রধান প্রতিদ্বন্ধী লকেট সম্পর্কে বলেন, ‘‘ও যথেষ্ট ওজনদার প্রার্থী। লড়াই হবে। দিদি (মমতা), আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন। আশা করছি জিতব।’’ বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর বলেও দাবি করেন, রচনা। তিনি বলেন, "লকেট আমার এক সময়ের সহকর্মী। খুব ভাল মানুষ। দেখবেন, প্রচারে মুখোমুখি হলে 'তুইতোকারি' করে আমরা কথা বলছি।"
দু’জনের সু-সম্পর্কের কথা মানছেন লকেটও। তবে, তিনি বলেন, ‘‘এই লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। মোদী বনাম মমতার লড়াই। মানুষ মোদীর দিকেই আছেন, থাকবেন। আমি এই নির্বাচনী কেন্দ্রে আসিনিবলে তৃণমূল কুৎসা করছে। মানুষ জানেন, তাঁরা আমাকে কাছে পেয়েছেন কি না।’’
কলকাতার অনতিদূরে হুগলি, খুব একটা চেনা নয় বলে অকপটেইস্বীকার করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। তিনি জানান, জেলার সদর শহর চুঁচুড়ায় কোনওদিন যাওয়া হয়নি। তবে, গানের অনুষ্ঠানে একবার সিঙ্গুর আর একবার চন্দননগরের দিকে পা পড়েছিল তাঁর।
সাধারণ মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তুলে ধরতে চান রচনা। টিভির পর্দায় একটি জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনার দৌলতে যথেষ্ট পরিচিত মুখ তিনি। সে দিক থেকে জনসংযোগে বাড়তি সুবিধা হবে বলেই মানছেন রচনা। প্রচারে চমক থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে