বাংলার মাটি বরাবরই দুর্জয় ঘাঁটি ছিল। দুর্বৃত্তেরা যে কথা জানত, সে কথা সুজনেরও বোঝা দরকার। একদিকে দুর্ভেদ্য দুর্গ বানিয়ে তৈরি থাকা অসংখ্য অদৃশ্য ভূত, অন্য দিকে নির্বাচন কমিশনের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ একটা নাম। দু’পক্ষের সামনেই দ্বিতীয় পরীক্ষা আজ। প্রথম পরীক্ষায়, সংশয় নেই, দিনভর ভূতেদের গুনগুন এবং বেলা শেষে কীর্তন ভালই টের পাওয়া গিয়েছিল। মেনে নেওয়া যেতে পারে, এ রাজ্যের মাটি-জল- হাওয়া এবং ভূতেদের চরিত্র বুঝতে সময় লাগতেই পারে নির্বাচন কমিশনের। ফাস্ট বোলিংয়ের ভঙ্গিমায় ছুটে এসে প্রথম বলটাই যদি অফ স্পিন করে বসেন বোলার, তা হলে ব্যাটসম্যানের যা অবস্থা হয়, প্রথম বলে নির্বাচন কমিশনের অনেকটা সেই অবস্থা হয়েছে। পিচ বুঝে নিতে সময় লেগেছে ব্যাটসম্যানের। এবার দ্বিতীয় বল।
আজ সেই দ্বিতীয় বলের পরীক্ষা। বোলার চেনা হয়ে গিয়েছে, মাঠ অচেনা নয়, গ্যালারি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তুমুল উতরোল, দু’পক্ষের হয়েই গলা ফাটিয়ে। বল আসছে, দিগন্তবিস্তারী পাখা মেলে নেমে আসছে ভূতেরাও, জলদগম্ভীর প্রতিরোধের হঙ্কার ওঝাদের দিক থেকেও। অন্যথায়, পিন পতনের শব্দ শোনা যায় স্টেডিয়াম জুড়ে। দর্শকদের হৃদয়জড়ে ধুকপুক। এইবার ব্যাট করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। প্রমাণ করতে হবে, ঘাঁটি দুর্জয় হয় দুর্বৃত্তের জন্যেই, সুজনের জন্য নয়।
আপনার দ্বিতীয় পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। শুভেচ্ছা রইল।