ময়ূরেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি’র হেভিওয়েট প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে শোচনীয় ভাবে হারাতে না পারলে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেবেন অনুব্রত মণ্ডল। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানালেন অনুব্রত নিজেই।
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন বিখ্যাত করেছিল বোলপুরকে। কিন্তু এখনকার বোলপুর বার বার শিরোনামে আসে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জন্য। শান্তিনিকেতনের জেলায় যত অশান্তি, সব কিছুর মূলে নাকি তিনিই। বলেন বিরোধীরা। অনুব্রত ওরফে কেষ্টদা কিন্তু পাত্তাই দেন না সে সব অভিযোগকে। স্বভাবসিদ্ধ দাপটেই রাজনীতি করছেন বীরভূমে। মাথায় নাকি রয়েছে প্রিয় ‘দিদি’র প্রশ্রয়ের হাত। তাই অনুব্রত মণ্ডল এ বারও বুক ঠুকে বলছেন, বীরভূমের সব আসনে জিতবেন তিনি।
ময়ূরেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই কঠিন। সেখানে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন টলিউড গ্ল্যামার লকেট চট্টোপাধ্যায়। ময়ূরেশ্বরে পা রেখেছেন যে দিন, সে দিন থেকেই প্রচারে ঝড়। রাজনৈতিক শিবির বলছে, ভোট ঠিক মতো হলে লকেটকে রোখা কেষ্টদার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু কেষ্টদার আত্মবিশ্বাস টাল খাচ্ছে না এতটুকুও। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটকে বললেন, ‘‘ময়ূরেশ্বরে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে যদি তৃতীয় স্থানে পাঠাতে না পারি, যদি ওই বিধানসভা কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জিততে না পারি, তা হলে আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব।’’
এত বড় প্রতিজ্ঞা করে বসলেন অনুব্রত মণ্ডল! শেষ পর্যন্ত রাজনীতি ছাড়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে না তো? কারণ, লকেট সম্পর্কে অনুব্রতর একটি বিতর্কিত মন্তব্য আরও বাতাস জুগিয়েছে বিজেপির পালে। এই প্রশ্নেও বিচলিত নন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। বললেন, ‘‘বিতর্কিত কিছুই বলিনি। যা বলেছি সেই অবস্থানেই এখনও আছি।’’ কিন্তু লকেট সম্পর্কে আপনার মন্তব্যে তো অশ্লীল শব্দ ছিল অনুব্রতবাবু! সেই মন্তব্যে এখনও অনড় থাকছেন কী করে? অনুব্রতর জবাব, ‘‘অশ্লীল শব্দ বলিনি। বলেছিলাম দলছুট মহিলা, বসন্তের কোকিল।’’
দেখুন ভিডিও
(চলবে।)