TMC

WB Election: ফের শীতলখুচি, ফলপ্রকাশের পর দিন গুলিতে মৃত্যু বিজেপি সমর্থকের, অভিযুক্ত তৃণমূল

বিজেপি-র হুঁশিয়ারি, ‘‘প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি কর্মীরাই হামলা প্রতিহত করবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২১ ১৮:১৪
Share:

নিজস্ব চিত্র

ভোট পরবর্তী হিংসার আঁচ উত্তরবঙ্গে। ফের শিরোনামে শীতলখুচি। সোমবার সকালে শীলতখুচি বিধানসভা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বিজেপি কর্মীর। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দলের কর্মীকে হত্যা করেছে। যদিও ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা অভিযোগ, রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অশান্ত হচ্ছে এলাকা।

Advertisement

ভোট চলাকালীন শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। তাই নিয়ে উত্তাল হয় রাজনীতি। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও উত্তরের এই কেন্দ্রে শান্তি ফেরার নাম নেই। সোমবার সকালে হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলখুচি বিধানসভা এলাকায় ছোট শালবাড়ি এলাকা। বিজেপি-র অভিযোগ, সকাল থেকে শীতলখুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ছোট শালবাড়ি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করতে শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তার পরেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী মানিক মৈত্রকে লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। গুলি লাগে পেটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত মানিককে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিজেপি-র জেলা আহ্বায়ক অভিজিৎ বর্মণ বলেন, ‘‘কোচবিহার জেলার ৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। বহু বিজেপি কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। অনেকে ঘরছাড়া। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপিকর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ জন বিজেপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।’’

পুলিশ-প্রশাসনকে বার বার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিজিতের। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তা হলে বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে এই হামলা প্রতিহত করবে।’’

Advertisement

জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। যদি বিক্ষিপ্ত দু’একটি ঘটনা ঘটে, তার জন্য দিলীপ ঘোষের উস্কানিমূলক বক্তব্য দায়ী। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে তারা যেন কড়া হাতে ব্যবস্থা নেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement