TMC

WB Election: ভোটের সময় কেশিয়াড়িতে গ্রামবাসীদের মারধরের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে, তদন্তে পুলিশ

অভিযোগ, শনিবার জেলায় ভোট চলাকালীন কেশিয়াড়ি দাদরা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ২৩:৩১
Share:

কেশিয়াড়িতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

কেশিয়াড়িতে ভোট গ্রহণের সময় গ্রামবাসীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ওই এলাকার দাদরা গ্রামে এই হামলা চলেছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অন্য দিকে, চন্দ্রকোনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক পরে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

প্রথম ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার জেলায় ভোট চলাকালীন কেশিয়াড়ির দাদরা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা ওই এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।

কেশিয়াড়িতে এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। অন্য দিকে, শনিবার বিকেলে চন্দ্রকোনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক পরে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েক জনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল চন্দ্রকোনায় ভোট গ্রহণ হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তার আগে চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হন দলীয় কর্মীরা। শনিবার বিকেলে চন্দ্রকোনা বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অরুপ ধাড়ার সমর্থনে ধরমপুর থেকে লালগড় পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিলের জন্য ধরমপুর এলাকায় রাজ্য সড়কের ধারে প্রচারের গাড়ি নিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হয়েছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, সে সময় চন্দ্রকোনা রোডগামী একটি বোলেরো গাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাকে ৪-৫ জন নেমে হঠাৎই তৃণমূলের মিছিলে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীদের লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। এমনকি, মিছিল না করার হুমকিও দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।

Advertisement

এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী অরুপ ধাড়া-সহ দলীয় নেতৃত্ব। ঘটনার পরে রাজ্য সড়কের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। এর পর পথ অবরোধও করেন তাঁরা। পরে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে গোটা ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগজিৎ সরকার বলেন, “পুলিশ আমাদের জানিয়েছে যে ওই এলাকায় কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা ছিল না। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন