TMC

WB Election: বুথের ভোটারকেই পোলিং এজেন্ট করা হোক, কমিশনে পাল্টা দাবি জানাল তৃণমূল

তৃণমূলের প্রশ্ন, ‘‘ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে অন্য জায়গার কাউকে যখন বসানো হবে বুথের মধ্যে সেই ব্যক্তিকে এলাকার মানুষ চিনবেন কী ভাবে?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ১৯:২১
Share:

নির্বাচন কমিশনের অনুমতি খারিজের দাবি জানাল তৃণমূল।

Advertisement

অন্য বুথের ভোটারকে বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও বুথে এজেন্ট করার যাবে। বিজেপি-র এমন দাবি মেনে নিয়ে তার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বার নির্বাচন কমিশনের সেই অনুমতি খারিজের দাবি জানাল তৃণমূল। পাল্টা প্রস্তাব দিয়ে বুথের ভোটারকেই বুথের পোলিং এজেন্ট করা হোক দাবি জানাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

শনিবার যখন রাজ্যের ৩০টি বিধানসভায় ভোটগ্রহণ চলছে, ঠিক সেই সময় তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের ১০ সাংসদের প্রতিনিধিদল কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান। সেখানেই কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমে সুদীপ বলেন, ‘‘আমাদের ভোটগ্রহণ ব্যবস্থার মধ্যে এমন একটা পদ্ধতি ছিল যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যে পোলিং এজেন্ট দেয় সেই পোলিং এজেন্টকে সেই বুথের অধীনেই ভোটার হতে হবে। এই পদ্ধতিই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ছিল। তার কারণ, একদলের এজেন্ট অন্য দলের এজেন্টকে চিনত। ফলে পরিবেশ কিছুটা হলেও ভাল হতে পারত। এলাকা থেকে যাঁরা ভোট দিতে আসছেন, তাঁদেরকে চিহ্নিত করা সহজতর হত।’’ কিন্তু এ বার অন্য ব্যবস্থা চাইছে বিজেপি। সুদীপ বলেন, ‘‘এ বার বিজেপি-র পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করা হয়েছে, যেন সমস্ত বিধানসভা এলাকায় যে কোনও প্রান্ত থেকে দল যাঁকে মনে করবে তাঁকে বুথ এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করতে পারে। এবং সেটা গৃহীত হয়েছে।’’

Advertisement

এই চিঠি নির্বাচন কমিশন কে দিল তৃণমূল।

গেরুয়া শিবিরের এমন দাবি নিয়ে তৃণমূলের প্রশ্ন, ‘‘ভোটগ্রহণ কেন্দ্র অন্য জায়গার একজনকে যখন বসানো হবে সেই বুথের মধ্যে সেই ব্যক্তিকে এলাকার মানুষ চিনবেন কী ভাবে?’’ নিজেদের আশঙ্কা প্রসঙ্গে সুদীপ বলেছেন, ‘‘আমাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তিনি যে ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের অন্য কোনও বুথ থেকে আসছেন, প্রিসাইডিং অফিসার তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য বা কাগজপত্র থাকছে না। দ্বিতীয় দফা থেকে শেষ দফা পর্যন্ত বুথের ভোটারকেই এজেন্ট করার দাবি নিয়ে আমরা সাক্ষাৎ করেছি। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনি দাবিটি দিল্লিতে পাঠাবেন।’’

এদিন তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় তড়িঘড়ি নিয়ম বদলের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও একটা দলের ডেপুটেশনের প্রেক্ষিতে এই ধরনের প্রতিষ্ঠিত নিয়মের পরিবর্তন করা যায় না। আমরা মনে করি কেন্দ্রে যে হেতু কেন্দ্রে তারা ক্ষমতায় রয়েছে তাদের সঙ্গে এক ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে তাই সর্বদল বৈঠক না ডেকেই নিয়মের বদল ঘটানো হল। এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন