কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং দলের প্রার্থীর সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি-র কর্মীরা। হাওড়া উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রবিবার দলের জাতীয় যুগ্ম সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ ও এ রাজ্যে দলের ভোট পর্যবেক্ষক গৌতম সিংহ রাজপুত সালকিয়ার শ্যাম গার্ডেনে একটি কর্মী সভায় যান। সেখানেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এমন বিবাদ বাধে। তার জেরে প্রায় সাড়ে সাতশো স্থানীয় বিজেপি কর্মী দলই ছেড়ে দিয়েছেন!
বিজেপি সূত্রের খবর, ভোটের সময়েই সালকিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে দলের অন্দরে প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছেন রূপা। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ ঘটনা অনভিপ্রেত এবং এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। কারণ, ওঁদের সামনেই পুরো ঘটনাটা ঘটেছে।’’
স্থানীয় দুই নেতা বিবেক সোনকার ও ভরতভূষণ ওঝাকে মঞ্চে ডাকতে গেলে আপত্তি তোলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা উমেশ রাইয়ের অনুগামীরা। বিবেক ও ভরত দু’জনেই রূপার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে গড়ায়। মঞ্চ লক্ষ করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। জখম হন দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন। অভিযোগ, বিবেককে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরেই উমেশের নেতৃত্বে প্রায় সাড়ে সাতশো বিজেপি সদস্য তাঁদের পদত্যাগপত্র রাজ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। উমেশ বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থী এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরে ভরসা রাখতে পারছিলেন না। উনি অন্য রাজ্য থেকে লোক এনে ভোট করাতে চাইছেন! এটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ পরে রাজ্য দফতরে রূপা বলেন, ‘‘আমরা দুঃখিত। এটা ছোটখাটো ঘটনা। তবে না ঘটলেই ভাল হত।’’ রাজ্য বিজেপি-র তরফে হাওড়া জেলা নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ফ্লেক্সে কালি, মইয়ে লকেট