চাপ কাটাতে আড্ডাই ভরসা

পরীক্ষা আর ফলপ্রকাশের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান থাকলে কার না চিন্তা হয়! ১১ এপ্রিল ভোট মিটেছে। গণনা ১৯ মে। মাঝের এই এক মাস সময় যেন আর কাটতে চাইছে না। অথচ হার-জিত, মার্জিন নিয়ে তো উদ্বেগ আছেই।

Advertisement

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৬ ০০:৫২
Share:

নিজের বাড়ির অফিসে তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায়।

পরীক্ষা আর ফলপ্রকাশের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান থাকলে কার না চিন্তা হয়!

Advertisement

১১ এপ্রিল ভোট মিটেছে। গণনা ১৯ মে। মাঝের এই এক মাস সময় যেন আর কাটতে চাইছে না। অথচ হার-জিত, মার্জিন নিয়ে তো উদ্বেগ আছেই। তাই খড়্গপুর গ্রামীণ কেন্দ্রের যুযুধান তিন প্রার্থীই, চাপ কাটাতে দিনের বেশিরভাগ সময়টাই দলের কর্মীদের সঙ্গে কাটাচ্ছেন। কখনও আড্ডা চলছে পাড়ার মোড়ে, কখনও বা দলের কার্যালয়ে। পাশাপাশি ভোট-পর্যালোচনাও চলছে।

ভোট-যুদ্ধের আসরে নামায় গত কয়েকটা মাস বিলকুল পাল্টে গিয়েছিল রোজনামচা। ভোর হলেই বেরিয়ে পড়তে হত বাড়ি থেকে। সকাল থেকে প্রচার। এ প্রান্ত-ও প্রান্ত ছুটে বেড়াতে কম ধকল হয়নি! ভোট-পর্বের সেই চাপ এখন আর নেই। এখন একটু ফাঁক পেলে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাচ্ছে খবরের কাগজে। চোখ রাখা যাচ্ছে টেলিভিশনে। অবসরে চলছে গান শোনা, বই পড়া।

Advertisement

চাপের কথা অবশ্য মানছেন না শাসক-বিরোধী কোনও দলের প্রার্থীই। মুখে সকলেই বলছেন, ‘‘কীসের টেনশন! অনেক দিন হল রাজনীতি করছি। এখন আর এ সব নিয়ে খামোকা চিন্তা হয় না!’’ কর্মীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, প্রার্থীরা যথেষ্ট চাপে আছেন। নিজেকে চাপমুক্ত রাখার সব রকম চেষ্টাও করছেন।

খড়্গপুর গ্রামীণের তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায় এখন দলের কাজকর্মেই ব্যস্ত। দীনেনবাবু তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি। ফলে, তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব রয়েছে। নিজের ভোট মিটে যাওয়ার পরে কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেছেন। কলকাতায় প্রচার সেরে ফিরে এসেছেন পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। পূর্বে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেছেন। এখন অবশ্য মেদিনীপুরেই আছেন। শহরে থাকলে রোজ নিয়ম করে দলের জেলা কার্যালয়ে আসেন। সময় বের করে নিজের বিধানসভার এলাকার গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। জেলার অন্য এলাকার কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। সাংগঠনিক নানা বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। দীনেনবাবু বলছেন, ‘‘এখন দিনের বেশির ভাগ সময়টা কর্মীদের সঙ্গেই কেটে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে খড়্গপুর যাচ্ছি।’’

(বাঁদিকে) দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বামপ্রার্থী শাহজাহান আলি। (ডানদিকে) বিজেপি কার্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছেন গৌতম ভট্টাচার্য।

সিপিএম প্রার্থী শাহজাহান আলিও সময় পেলে দলীয় কার্যালয়ে চলে আসছেন। তাঁর কথায়, “কর্মীদের সঙ্গেই অনেকটা সময় কাটাচ্ছি। দলের কিছু কাজকর্ম থাকে। সেগুলো করতে হয়। অবসরে বই পড়ি। কবিতা লিখি।’’ ফলপ্রকাশ নিয়ে চিন্তা নেই? শাহজাহান বলছেন, “সত্যি বলতে কি একটু টেনশন আছে। তবে সকলের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝছি তাতে আমিই জিতছি! ভাল ফলের আশাই করছি।” বিজেপি প্রার্থী গৌতম ভট্টাচার্যও দিনের বেশিরভাগ সময়টা কর্মীদের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন। গৌতমবাবু বলছেন, “টেনশন আর কীসের! ভোট তো হয়ে গিয়েছে। দেখাই যাক না কী হয়!”

মনের ভেতরে যা-ই চলুক না কেন, বাইরে সকলেই ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’ থাকার চেষ্টা করছেন।

ছবি: রামপ্রসাদ সাউ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement