তৃণমূলের ভরা জোয়ার। তবুও দুর্নীতির চোরাবালি তাঁর পা আটকে রাখল। জয়ের সেই স্রোতে আর ভাসতে পারলেন না মদন মিত্র। অথচ, গত বিধানসভায় কামারহাটি তাঁকে ২৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতিয়েছিল তাঁকে। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনেও ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রায় ১৫ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু, এ বার সেই মদনের সঙ্গে থাকলেন না কামারহাটির মানুষ। তবে কি জেলে থাকা এক জন বন্দিকে প্রত্যাখান করলেন তাঁরা?
জেলে থাকা অবস্থায় নির্বাচন জিতে বিধানসভায় যাওয়ার নজির এ রাজ্যে আছে। ১৯৭৭-এর নির্বাচনে জেল থেকেই জিতেছিলেন রাজনৈতিক বন্দি সন্তোষ রানা। বামপন্থী সন্তোষবাবু সে বার নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর সন্তোষবাবুকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু, মদন মিত্রের সেই সৌভাগ্য হল না। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, রাজনৈতিক বন্দি এক রকম, আর দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি থাকাটা অন্য রকম। দুটোর মধ্যে কোনও মিল নেই।
যদিও মদন একা নন। মমতার গত মন্ত্রিসভার আট মন্ত্রী এ বারের নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। তাঁরা হলেন বালুরঘাটে শঙ্কর চক্রবর্তী, বাগদায় উপেন বিশ্বাস, মানিকচকে সাবিত্রী মিত্র, ইংরেজবাজারে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, যাদবপুরে মণীশ গুপ্ত, উত্তর দমদমে চন্দ্রিমা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইসলামপুরে আব্দুল করিম চৌধুরী।