‘বাবাকে যারা মেরেছে, তাদের এ ভাবেই মারা উচিত'

ডোমকল আবারও ফিরল ডোমকলেই। ভোটকে কেন্দ্র করে আবারও খুন হলেন এক সিপিএম কর্মী। বৃহস্পতিবার ডোমকল থানার হরিদোবা গ্রামে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয় তহিদুল মণ্ডল (৪২) নামের ওই ব্যক্তির। সিপিএমের অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১৬:০৫
Share:

ডোমকল আবারও ফিরল ডোমকলেই। ভোটকে কেন্দ্র করে আবারও খুন হলেন এক সিপিএম কর্মী। বৃহস্পতিবার ডোমকল থানার হরিদোবা গ্রামে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয় তহিদুল মণ্ডল (৪২) নামের ওই ব্যক্তির। সিপিএমের অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও ওই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, সিপিএম আর কংগ্রেসের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরেই খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ওই ঘটনায় এ দিন বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। স্থানীয় মানুষের দাবি পুলিশের সামনেই ওই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন-গুলি-বোমায় ভোট! ডোমকলে খুন, শাসকের মার কলকাতা থেকে কেতুগ্রামে

দিনমজুরি করেই চলত তহিদুলের সংসার। এক ছেলে আর দুই মেয়ে বউ নিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। এ দিন সকাল সকাল বাড়ি থেকে থেকে বেরিয়েছিলেন ভোট কেন্দ্রে সিপিএমের এজেন্ট হবেন বলে। সকাল ৬ টার আগেই হাজির হয়েছিলেন সেখানে। ঘণ্টা দেড়েক পরে এক বার বাইরে বেরিয়েছিলেন। আর সেটাই কাল হয়েছে তার। বুথের সামনেই বোমার ঘায়ে জখম হয়ে লুটিয়ে পড়েন তহিদুল। সেখান থেকে তার আত্মীয়রা কোনও ক্রমে টেনেহিঁচড়ে আনেন প্রায় ৭০০ মিটার দূরে পাকা রাস্তার ধারে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরে পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে দেহ। তহিদুলের দাদা সাইফুল মণ্ডল বলেন, ‘‘কোনও গণ্ডগোল হলেও না হয় বুঝতাম, ঝামেলায় জড়িয়ে ওর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, এ ভাবে একটা নিরীহ মানুষকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হবে, আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি। কী ভাবে ৪ জনের মুখে ভাত উঠবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।’’ বাবার অকাল মৃত্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তহিদুলের কিশোরী মেয়ে। ‘‘বাবাকে যারা মেরেছে, তাদের এ ভাবেই মারা উচিত্’’-মন্তব্য তার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন