গাড়ি-পুলিশ ভোটে ব্যস্ত, জেলে বিচার ভিডিওতেই

নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। একই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রিজন ভ্যান। আদালতে হাজিরার জন্য বন্দিদের জেল থেকে নিয়ে যাওয়ার পুলিশ নেই। গাড়িও নেই। অগত্যা বন্দিদের বিচার হল জেলেই, ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১০
Share:

নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। একই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রিজন ভ্যান। আদালতে হাজিরার জন্য বন্দিদের জেল থেকে নিয়ে যাওয়ার পুলিশ নেই। গাড়িও নেই। অগত্যা বন্দিদের বিচার হল জেলেই, ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থায়। বৃহস্পতিবার দমদম কেন্দ্রীয় জেলে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থায় এ ভাবেই বিচার হয় অন্তত ২০ জন বন্দির।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ গত ৩১ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে দমদম জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল, ২৫ এপ্রিল ওই জেলার ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তার প্রস্তুতিতে এখন থেকেই প্রচুর পুলিশকর্মী এবং ভ্যান লাগছে। তাই ওই জেল থেকে বন্দিদের বারাসত আদালতে নিয়ে যাওয়া আর ফেরত আনার জন্য পুলিশকর্মী বা গাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার পরেই দমদম জেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বারাসত জেলা আদালতের গোচরে আনেন।

জেল-কর্তৃপক্ষ আদালতকে আরও জানান, বন্দিদের ১৪ দিন অন্তর আদালতে হাজিরা দিতে হয়। কিন্তু আপাতত গাড়ি এবং লোকবলের বড়ই অভাব। এই অবস্থায় যত দিন না ভোটের ফল বেরোচ্ছে, হাজিরা দিতে না-পারায় অনেক বন্দি বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন। এমন উৎকট সমস্যা চিন্তায় ফেলে দেয় আদালতকেও। ভোট দেওয়াটা যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, বিচার পাওয়াটা ততোধিক মানবিক অধিকার। তাই বারাসত আদালতের বিচারকেরা বিচার চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভিডিও-সম্মেলনকেই বেছে নেন।

Advertisement

এ দিন দমদম জেলেই ভিডিও-সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বন্দিরা এক-এক করে এসে আদালতকে তাঁদের হাজিরার কথা জানান। এ ভাবে বিচার চলে প্রায় ২০টি মামলার, আইনজীবী শিবিরের মতে, যা কার্যত নজিরবিহীন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement