গত বৃহস্পতিবার থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। — ফাইল চিত্র।
নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতেও সংঘর্ষ এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠে এসেছে ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুরে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও। যে কোনও মূল্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই বার্তা প্রতিফলিত হয়েছে ঢাকা মহানগরের পুলিশপ্রধানের বার্তাতেও।
বাংলাদেশের তরুণ নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে ফের উত্তাল হয়েছে ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকা। ভাঙচুর, তাণ্ডব, অগ্নিসংযোগ— সবই হয়েছে। বাদ যায়নি ছায়ানট, উদীচীর মতো ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি সংবাদপত্রের দফতরও। এরই মধ্যে সোমবার শরীয়তপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল।
সোমবারই খুলনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হাসিনাবিরোধী রাজনীতি থেকে উঠে আসা নতুন দল এনসিপি-র শ্রমিক নেতা মোতালেব শিকদার। কয়েক দিন আগে অপর এক হাসিনাবিরোধী সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদিকে খুন করা হয়। জানা যাচ্ছে, এই দুই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করছিল এনসিপি। সেই সময়েই ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। দু’দলের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণেরও অভিযোগ উঠেছে। জখম হয়েছেন অন্তত আট জন।
নির্বাচনের মুখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারও। এ পরিস্থিতিতে সোমবারই ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে। ইউনূসের বার্তাই দৃশ্যত প্রতিফলিত হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মুহাম্মদ সাজ্জাত আলির বক্তব্যেও। সোমবার ঢাকার ৫০টি থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠক সারেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকেই উঠে এসেছে, নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
নির্বাচনের আগে নাশকতা, হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা পুলিশের আধিকারিকেরা। এ পরিস্থিতিতে আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে পুলিশের বৈঠকে।