ফলের পর মিছিল সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ভোটের ফল প্রকাশের পরে চার দিন মিছিল ও সমাবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠক করলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, গণ্ডগোল রুখতে রাজনৈতিক দলগুলিরও সাহায্য চেয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৬ ০২:১৮
Share:

গণনাকেন্দ্রে কড়া প্রহরা। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি কলেজে।ছবি: সন্দীপ পাল

গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ভোটের ফল প্রকাশের পরে চার দিন মিছিল ও সমাবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কোচবিহার জেলা প্রশাসন।

Advertisement

মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠক করলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, গণ্ডগোল রুখতে রাজনৈতিক দলগুলিরও সাহায্য চেয়েছেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দলের নেতারা তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করার কথা জানানো হয়েছে।

১৯ মে ভোট গণনাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ওই দিন পাঁচজনের বেশি মানুষ একসঙ্গে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরের দিন থেকে কাউকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকি যাদের হাতে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে তাঁরাও সেগুলি নিয়ে বের হতে পারবেন না।” কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও খামতি নেই। যে কোনও ব্যাপারেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই কোন কোন এলাকাগুলি উত্তেজনাপ্রবণ তাঁর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। তাই প্রত্যেক থানায় অতিরিক্ত পাঁচটি করে ছোট গাড়ি দেওয়া হবে। থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী। এসডিপিও এবং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাহিনী নিয়ে তৈরি থাকবেন। প্রয়োজনে তাঁরা কোনও এলাকায় যাবেন।

Advertisement

কোচবিহারে ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে পাঁচ জায়গায়। মেখলিগঞ্জ উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, মাথাভাঙা কলেজ, কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজ, দিনহাটা কলেজ এবং তুফানগঞ্জ কলেজে গণনা হবে। গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়েও এ দিন বিস্তারিত জানানো হয়। তিনটি নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে গণনাকেন্দ্রে যেতে হবে। দুটি বেষ্টনীতে থাকবে রাজ্য পুলিশ এবং শেষে থাকবে আধা সামরিক বাহিনী। মোবাইল নিয়ে কেউ গণনাকেন্দ্রের ভিতরে থাকতে পারবে না।

সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দা সাহা বলেন, “আশা করব সব দল প্রশাসনের আবেদন মেনেই চলবে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কর্মীদের কাউকে প্ররোচনায় পা না দিতে বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন