ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গরমে মৃত্যু দু’জনের

তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়েই বাড়ছে উত্তাপ। সকাল ১১টার মধ্যেই খুন, বোমা বাজি, ছাপ্পাভোট, রিগিং, হুমকি, সন্ত্রাসের আবহে চলছে ভোটদান প্রক্রিয়া। চড়ছে উষ্ণতার পারদও। ইতিমধ্যেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত গরম এবং রোদের দাপটে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মারা গেছেন মঙ্গলকোটের সুদর্শন চট্টোপাধ্যায় (৭০), বৈঁচির অনিল দাস (৪৫)।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৩০
Share:

তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়েই বাড়ছে উত্তাপ। সকাল ১১টার মধ্যেই খুন, বোমা বাজি, ছাপ্পাভোট, রিগিং, হুমকি, সন্ত্রাসের আবহে চলছে ভোটদান প্রক্রিয়া। চড়ছে উষ্ণতার পারদও। ইতিমধ্যেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত গরম এবং রোদের দাপটে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। মারা গেছেন মঙ্গলকোটের সুদর্শন চট্টোপাধ্যায় (৭০), বৈঁচির অনিল দাস (৪৫)।

Advertisement

কড়া গরমের চোখরাঙানি আঁচ করে আমজনতাকে হাওয়া অফিসও গতকালই নিদান দিয়েছিল— আজ বৃহস্পতিবার যত তাড়াতাড়ি পারেন ভোট দিয়ে এসে বাড়িতে চলে আসুন।

আরও পড়ুন-‘কমিশন কে মুহ্‌ পে জুতা মারো’, বললেন তৃণমূল নেতা

Advertisement

বৃহস্পতিবারের গরমের বহরটা কেমন হতে পারে, পূর্বাভাসে সে ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল। আবহবিদেরা জানিয়েছিলেন, বর্ধমানে আজ তাপপ্রবাহ বইবে। একই পরিস্থিতি থাকবে কলকাতা, নদিয়া মুশির্দাবাদেও। ভোরের দিকে কিছুটা বাতাস বইলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা মিলিয়ে যাবে। থম মারা গুমোটে থার্মোমিটারের পারা চড়বে লাফিয়ে লাফিয়ে।

অর্থাৎ, তুঙ্গ দুর্ভোগের আভাস। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের এক ডিগ্রি বেশি। কিন্তু বেশি আর্দ্রতার সুবাদে এ দিনও ঘেমে-নেয়ে নাকাল হতে হয়েছে। বাতাস না-থাকায় ঘাম শুকোয়নি, পরিণামে শরীরের ভিতরকার তাপমাত্রা চড়েছে। সব মিলিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। আজ তাপমাত্রাও বাড়বে। আবহবিদদের ধারণা, আকাশে যেটুকু মেঘ রয়েছে, বুধবার রাতে তা সরতে শুরু করবে। আর বৃহস্পতিবার বেলা দু’টো নাগাদ মহানগরের তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রিতে। বর্ধমানে তা ৪২ ডিগ্রি, বহরমপুরে ৪১ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। বস্তুত আজ বেলা ন’টা থেকে বারোটা— তিন ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা চার ডিগ্রি বাড়ার সমূহ আশঙ্কা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন