BJP

উন্নয়নের বদলে তোষণের রাজনীতি চলছে বাংলায়, অভিযোগ নরেন্দ্র মোদীর

বাম থেকে তৃণমূল, কোনও সরকারই এত বছরে বাংলার মানুষের জন্য নিজ ভূমিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাহাগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৫
Share:

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূল সরকারের আমলে ঋষি অরবিন্দ, রাসবিহারী বসুর পবিত্র ভূমি সিন্ডিকেটের আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে। হুগলির সাহাগঞ্জে এমনই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, ‘‘বাংলায় বিনিয়োগ করতে মুখিয়ে রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এখানকার সরকার যে পরিবেশ তৈরি করেছে, যে ভাবে সিন্ডিকেটের হাতে বাংলাকে তুলে দিয়েছে, তাতে অনেকেই বিমুখ হয়ে পড়ছেন। বিদেশে যখন প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে দেখা হয়, সকলেই মাতৃভূমির উন্নতিতে যোগদানে প্রস্তুত। কিন্তু করবেন কী করে। এখানে ঘর ভাড়া নিতে গেলেও কাটমানি দিতে হয়। সিন্ডিকেটের অনুমতি ছাড়া ভাড়ায় ঘরও পাওয়া যায় না এখানে।’’

Advertisement

ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র ১৭০০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু মাত্র ৯ কোটি টাকা খরচ করে বাকি টাকা তৃণমূলের লোকজন নিজের পকেটে পুরে নিয়েছে বলেও দাবি করেন মোদী। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দরিদ্র মানুষ এবং রাজ্যের মহিলাদের কষ্ট নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই, বরং নিজেদের ঘর গোছাতেই তারা ব্যস্ত বলেও দাবি করেন তিনি।

বাম থেকে তৃণমূল, বাংলার মানুষের জন্য কোনও সরকারই কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারেননি বলেও অভিযোগ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব ভারতের লোকসঙ্গীতে একসময় বলা হত, বাড়ির পুরুষরা কাজের খোঁজে কলকাতা গিয়েছেন। বাড়ি ফেরার সময় সেখান থেকে উপহার আনবেন। কিন্তু সব পাল্টে গিয়েছে। এখন বাংলার মানুষকেই কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যেতে হয়। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাকে বার করে আনবে বিজেপি।’’

Advertisement

সরাসরি আপডেট—

• ৪.৩৩: আমার বিশ্বাস, একজোটে বাংলার কৃষক, শ্রমিক এবং যুবকদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারব আমরা।

• ৪.৩২: বাংলায় বিনিয়োগ করতে মুখিয়ে রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এখানকার সরকার যে পরিবেশ তৈরি করেছে, যে ভাবে সিন্ডিকেটের হাতে বাংলাকে তুলে দিয়েছে, তাতেই অনেকে বিমুখ হয়ে পড়ছেন। বিদেশে যখন প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে দেখা হয়, সকলেই মাতৃভূমির উন্নতিতে যোগদানে প্রস্তুত। কিন্তু করবেন কী করে? এখানে ঘর ভাড়া নিতে গেলেও কাটমানি দিতে হয়। সিন্ডিকেটের অনুমতি ছাড়া ভাড়ায় ঘরও পাওয়া যায় না এখানে। তাই বলছি, এখানে সঠিক অর্থে পরিবর্তন আনতে হবে। যত দিন সিন্ডিকেট থাকবে, তত দিন বাংলার উন্নতি সম্ভব নয়। তোলাবাজরা থাকাকালীন বাংলার উন্নতি অসম্ভব। প্রশাসন যত দিন গুন্ডাদের আশ্রয় দিয়ে যাবে, তত দিন এখানে উন্নতি সম্ভব নয়। আর নয় অন্যায়, আমরা আসল পরিবর্তন চাই।

• ৪.২৯: একটা সময় ছিল যখন বাংলার পাটশিল্প গোটা দেশের চাহিদা মেটাত। কিন্তু সেই শিল্পকেও বাঁচানো যায়নি। কত শত মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পাটশিল্প বাঁচাতে নতুন কের উদ্যোগী হয়েছে। হুগলির আলুচাষীদের কী অবস্থা, তা-ও কারও অজানা নয়।

• ৪.২৭: পূর্ব ভারতের লোকসঙ্গীতে একসময় বলা হত, বাড়ির পুরুষরা কাজের খোঁজে কলকাতা গিয়েছেন। বাড়ি ফেরার সময় সেখান থেকে উপহার আনবেন। কিন্তু সব পাল্টে গিয়েছে। এখন বাংলার মানুষকেই কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যেতে হয়। এই পরিস্থিতিত থেকে বাংলাকে বার করে আনবে বিজেপি।

• ৪.২৫: বাংলার মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন না। তৃণমূল সরকারের এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই। প্রত্যেক ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিতে কেন্দ্র ১৭০০ কোটির বেশি টাকা দিয়েছে তৃণমূল সরকারকে। কিন্তু এর মধ্যে থেকে মাত্র ৯ কোটি টাকাই খরচ করেছে। বাকি ১১০০ কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছে। বাংলার মেয়েদের জল পাওয়া উচিত নয় কি? এদের ক্ষমা করবেন আপনারা? পদ্ম ফোটানো এই জন্যও জরুরি যাতে বাংলায় সঠিক অর্থে পরিবর্তন আসতে পারে।

• ৪.২০: স্বাধীনতার আগে দেশের অন্য রাজ্যের থেকে এগিয়ে ছিল বাংলা। কিন্তু যারা এত দিন বাংলায় রাজত্ব করেছে, তারা বাংলাকে দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাংলার উন্নতিরে সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। কৃষক ও গরিবের পয়সা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। যে কারণে তৃণমূলের নেতাদের প্রতিপত্তি বেড়ে চলেছে, আর সাধারণ মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বাংলার মানুষের অধিকার এখানকার সরকার ছিনিয়ে নিয়েছে। বাংলার লক্ষ লক্ষ দরিদ্র পরিবার আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা থেকে আজও বঞ্চিত।

• বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম ভবনের রক্ষণাবক্ষণে নজর দেয়নি কেউ। এর পিছনে অনেক বড় রাজনীতি লুকিয়ে রয়েছে। এই রাজনীতি দেশভক্তির বদলে ভোটব্যাঙ্কের, সকলের বিকাশের পরিবর্তে তোষণের। এখানে দুর্গাপুজোর ভাসানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলার মানুষ এদের ক্ষমা করবে না। বাংলার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ’২১-এ বিজেপির সরকার এলে বাংলার মানুষ নিজের সংস্কৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। কেউ ভয় দেখাতে। বলছে ‘পারবে না’। বিজেপি সোনার বাংলা তৈরি করতে কাজ করবে, যার মধ্যে এখানকার সংস্কৃতি ও ইতাহাস আরও মজবুত হবে। এমন বাংলা যেখানে সবার উন্নতি হবে। কাউকে তোষণ করা হবে না। যেখানে তোলাবাজি থাকবে না। রোগজার এবং আত্মনির্ভরতার সঙ্গে যুক্ত হবেন মানুষ।

• ৪.১৫: এত বছরে কোনও রাজনৈতিক দল বাংলার এই ঐতিহাসিক ভূমির উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার সংস্কৃতির জয়গান শুরু হবে।

• ৪.১০: বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অভিনন্দন। কিন্তু এই পরিকাঠামোর উন্নয়ন আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। এত দিন বাংলায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। আর দেরি করা চলবে না। বাংলার উন্নয়নই কেন্দ্রের লক্ষ্য।

• ৪.০৫: বাংলায় হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। রেললাইন বাড়ানো হচ্ছে। আপনাদের মেট্রো উপহার দিচ্ছি।

• ৪.০০: বাংলার মানুষ মনস্থির করে ফেলেছেন, এ বার পরিবর্তন আনতেই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন