Rabindranath Ghosh

‘অভিমানী’ কর্মীদের বাড়ি ঘুরবেন রবি

ওই এলাকায় অঞ্চল ও ব্লক স্তরে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক ‘গোষ্ঠী’ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২১ ০৬:৩২
Share:

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ফাইল চিত্র।

‘অভিমানে’ থাকা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সোমবার দলের অঞ্চল ও ব্লক নেতাদের নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন তিনি। কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ। ওই বৈঠকে তিনি নির্দেশ দেন, তাঁর বিধানসভা এলাকার গ্রামে গ্রামে যে সব কর্মী-সমর্থকেরা অভিমান করে বসে রয়েছেন, দ্রুত তাঁদের তালিকা তৈরি করে যেন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি কর্মসূচির ফাঁকে ওই কর্মীদের বাড়ি গিয়ে কথা বলবেন। তিনি আরও নির্দেশ দেন, কেউ যাতে গাড়ি নিয়ে গ্রামে প্রচারে না যান, টোটো নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচারের নির্দেশ দেন তিনি। ক্ষুব্ধ কর্মীদেরও এ দিন রবীন্দ্রনাথ বার্তা দেন, “দলকে ভালবাসলে ক্ষোভ নিয়ে বসে না থাকে সবাইকে এই সময় মাঠে নামা প্রয়োজন।”

Advertisement

রবীন্দ্রনাথ বলেন, “নানা কারণে অনেকের অভিমান হয়েছে। আমাকে অনেকেই তা জানিয়েছে। সবাই চাইছে রবিদা এক বার তাঁদের সঙ্গে কথা বলুক। আমি প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলব। রাতের দিকে কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলব।”

নাটাবাড়ি বিধানসভায় এ বার লড়াইয়ে পড়তে হবে মন্ত্রীকে— এ কথা এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনে ওই বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপি ১৮ হাজারের বেশি ভোটে লিড নেওয়ার পরে ওই গুঞ্জন আরও বেড়ে যায়। তাই তৃণমূল প্রার্থী এ বারে কোনও ভাবেই প্রচারে ত্রুটি রাখতে চাইছেন না। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বুথ ধরে ধরে অঞ্চল ও ব্লক নেতৃত্বদের রিপোর্ট দিতে বলেছেন। কোন বুথের কী অবস্থা তা দেখে নেওয়ার পরে সেখানে সে ভাবেই প্রচারের পরিকল্পনা করছেন।

Advertisement

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় অঞ্চল ও ব্লক স্তরে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক ‘গোষ্ঠী’ রয়েছে। দু’পক্ষের ‘দ্বন্দ্ব’ এলাকার সংগঠন দুর্বল করে দিয়েছে। আবার অনেকেই দলের কাছে নানা বিষয়ে সাহায্য চেয়ে না পেয়েও দূরে সরে গিয়েছেন। পুরনো অনেক নেতাই ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে পড়েছেন। ভোটের মুখে ওই কর্মীদের মাঠে নামাতে না পারলে যে লড়াই অনেক কঠিন হয়ে পড়বে তা বুঝতে পাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “মানুষ পরিবর্তন করার কথা ঠিক করে ফেলেছেন। তৃণমূলের অপশাসনে কেউ থাকতে চাইছেন না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন