Abhisek Banerjee

সিবিআই দেখিয়ে লাভ নেই, আমার শিরদাঁড়া বিক্রি হওয়ার নয়, ঘাটালে অভিষেক

তৃণমূল সাংসদ বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ঘাটাল, গড়বেতা, কাঁথি কারও একার জায়গা নয়, এগুলো ওই সব এলাকার মানুষেরই।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৬
Share:

ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

সিবিআই দেখিয়ে লাভ নেই। তাঁর শিরদাঁড়া বিক্রি হওয়ার নয়। শনিবার ঘাটালের জনসভা থেকে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দল বদল প্রসঙ্গে বিজেপি-কে আক্রমণ করে অভিষেকের মন্তব্য, “সিবিআই দেখিয়ে এক জনকে দলে নিয়েছে, সে শিরদাঁড়া বেচে দিয়েছে। আমার শিরদাঁড়া ফর সেল নয়। আমাকে কাটতে পারবেন না। কেটে দিলেও তৃণমূল জিন্দাবাদ বেরোবে, জয় হিন্দ বেরোবে, জয় বাংলা বেরোবে।”

Advertisement

সম্প্রতি অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও। প্রশ্ন উঠছে, তার প্রতিই কি শনিবারের সভা থেকে প্রচ্ছন্ন কোনও ইঙ্গিত করলেন অভিষেক?

শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এলাকায় ‘বাংলার দূত’ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, বহিরাগতদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। শনিবার বেলা ৩.১০ মিনিট নাগাদ হেলিকপ্টারে ঘাটালে পৌঁছন অভিষেক। স্থানীয় বেলতলা থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন তিনি। প্রায় সাড়ে চার কিমি রাস্তায় দলের পতাকা, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সঙ্গে ডিজে-তে বাজছিল ‘খেলা হবে’ গান। রোড শো-তে হাত নেড়ে এখান থেকেই ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন অভিষেক।

Advertisement

তাঁর সংসদীয় এলাকায় অভিষেক রোড শো করলেও দেখা মেলেনি সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ঘাটাল এলাকায় রোড শো করবেন অভিষেক। তারই মধ্যে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে পশ্চিম মেদিনীপুরে। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হবে ঘাটাল বিধানসভা কেন্দ্রে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি হল ঘাটালে।

‘বাংলার দূত’ গাড়িতে চেপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, “আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়ে গিয়েছে। আর খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে।” নাম না করে শুভেন্দুকেও আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ঘাটাল, গড়বেতা, কাঁথি, তমলুক, হলদিয়া, মেদিনীপুর কারও একার জায়গা নয়, এই জায়গাগুলো ওই সব এলাকার মানুষেরই।” এর পরই অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তৈরি থাকুন, নির্বাচনের পর ৫ বছর গণতান্ত্রিক ভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে না ওদের। মেদিনীপুরের ১৫টি আসনেই বিজেপি-কে হারাতে হবে। প্রতি আসনেই হারাতে হবে ওদের। এক ইঞ্জি জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে না।” এর পর তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, “সবুজ আবির কিনে রাখুন, ২ মে খেলা হবে।”

অভিষেক বলেন, ‘‘বহিরাগত, মীরজাফরদের জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। তার জন্য কর্মী সমর্থকদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’’ তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আর বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করাবে ভাবছে ওরা। আসলে ভোট দেবে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী আর বাংলার মানুষ। যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে, তাদের জবাব দিতে হবে।” তাঁর বক্তব্য, ‘‘মেদিনীপুরে দু’দফায় ভোট করলে এক জনের সুবিধা হবে ভাবছে। বাংলার আবেগকে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছে। ওঁদের যেমন জেদ বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করবে, তেমন আমার দ্বিগুণ জেদ বহিরাগতদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করব। ধমকে, চমকে লাভ হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন