Election Commission

Bengal Polls: নির্বাচনী বন্ড বিক্রিতে বাধা নেই, কেন্দ্রের যুক্তিতেই সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

আগেকার নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দল এককালীন ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি অনুদান পেলে বাধ্যতামূলক ভাবে দাতার নাম জানাতে হতো। বন্ড ব্যবস্থায় তা তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২১ ১৫:৫৬
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ড বিক্রিতে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’-এর তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের দায়ের করা আবেদন শুক্রবার খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ।

Advertisement

আগামী ১-১০ এপ্রিল নির্বাচনী বন্ড বিক্রির পূর্বঘোষিত সময়সূচি স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রশান্ত। কিন্তু সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন কেন্দ্রের কৌঁসুলি, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। নির্বাচন কমিশনের তরফেও বন্ড বিক্রিতে সম্ভাব্য অনিয়ম রুখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি সরকার পক্ষের সেই যুক্তি মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘আগামী ১ এপ্রিল থেকে বন্ড বিক্রিতে কোনও বাধা নেই।’’ বন্ড বিক্রির বিরুদ্ধে যে যুক্তি পেশ করা হয়েছে তাতে সারবত্তা নেই বলেও জানান তিনি।

ভোটে কালো টাকার প্রভাব রোখার যুক্তিতে ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড চালুর ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এর পর সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যাবে। কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, ওই বন্ড কিনে সংশ্লিষ্ট দলের হাতে তুলে দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে হবে।

Advertisement

কিন্তু কিছু বিরোধী দল এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বিশ্বের কোনও দেশেই এমন ব্যবস্থা নেই। কারণ, এই বন্ড বিধিতে অস্বচ্ছতা আরও বাড়বে। বন্ড ভাঙাচ্ছে রাজনৈতিক দল। ফলে কোন ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা কাকে ভোটে সাহায্য করছে, তার বিনিময়ে সরকারের থেকে কী সুবিধে আদায় করছে, তা কিছুই বোঝা যাবে না এই বন্ড বিধিতে। উল্টো দিকে সরকারের যুক্তি, কোন ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা তা প্রকাশ করতে গেলে বন্ডের ব্যবহারই বন্ধ হয়ে যাবে। আগের মতো নগদে কালো টাকার খেলাই চলবে ভোটে।

তা ছাড়া, আগেকার নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দল এককালীন ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি অনুদান পেলে বাধ্যতামূলক ভাবে দাতার নাম জানাতে হত। বন্ড ব্যবস্থায় তা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রশান্ত সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে বলেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমেই শাসক দলকে ঘুষ দেওয়া হয়।’’ পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বন্ড বিক্রি স্থগিত রাখার আবেদন জানান তিনি। কিন্তু ২০১৯ এবং ২০২০ সালে বন্ড বিক্রির সময় কোনও রকম অভিযোগ মেলেনি বলে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের দাবি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চও জানিয়েছে, বন্ড বিক্রি নিয়ে গুরুতর কোনও অনিয়ম নজরে আসেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন