বোস ইনস্টিটিউট। ছবি: সংগৃহীত।
বিপদের আভাস পেলে একে অপরকে সঙ্কেত পাঠায় গাছেরাও। জঙ্গলের বড় বড় উদ্ভিদ তো বটেই, ফসল খেতেও এমন প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় কি না, তা জানতেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা। কলকাতার বোস ইনস্টিটিউটের তরফে টম্যাটো গাছের মধ্যে এই বৈচিত্রের অস্তিত্ব নিয়েই গবেষণা করছেন বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপকেরা।
আবেদনের সুযোগ পাবেন কারা?
ওই গবেষণার কাজে সামিল হতে পারবেন স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্নেরা। এ জন্য তাঁদের এগ্রিকালচারাল, ন্যাচরাল কিংবা ভেটেরিনারি সায়েন্সেস বিষয়ে ওই ডিগ্রি থাকা চাই। একই সঙ্গে অন্তত চার বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে। তবে, গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা বিজ্ঞান শাখার যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাও আবেদনের সুযোগ পেতে পারেন।
অন্যান্য শর্তাবলি:
তবে, উভয় ক্ষেত্রেই আবেদনকারীদের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। পাশাপাশি, তাঁদের মলিকিউলার বায়োলজি, বায়োইনফরমেটিক্স, জেনোমিক্স স্টাডিজ় নিয়ে ওয়াকিবহাল হওয়া দরকার। এই সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আবেদনের পদ্ধতি:
নিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ছ’মাসের চুক্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। তবে, ওই মেয়াদ ৩১ অগস্ট, ২০২৮ পর্যন্ত বহাল থাকবে। প্রতি মাসের পারিশ্রমিক হিসাবে ৪২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগ্রহীরা আগাম আবেদন জমা দিতে পারেন ডাকযোগে। এ ছাড়াও ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনপত্র এবং অন্য নথি-সহ সরাসরি ইন্টারভিউয়েও যোগদান করতে পারেন। ইন্টারভিউয়ের সময় এবং ঠিকানা জানতে বোস ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে (jcbose.ac.in) গিয়ে মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নিতে হবে।