হ্যামলেটের বং কানেকশন

ঠিক ছিল আড্ডা হবে তাঁদের নতুন ছবি নিয়ে। কিন্তু অঞ্জন দত্ত-পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথায় কথায় উঠে এল কোহালি। ট্রাম্প। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর। সমকালীন সিনেমা। শুনলেন ইন্দ্রনীল রায়ঠিক ছিল আড্ডা হবে তাঁদের নতুন ছবি নিয়ে। কিন্তু অঞ্জন দত্ত-পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথায় কথায় উঠে এল কোহালি। ট্রাম্প। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর। সমকালীন সিনেমা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০০:০০
Share:

ছবি: কৌশিক সরকার।

‘বং কানেকশন’, ‘চলো লেটস গো’... তারপর কিছু নেই। প্রায় দশ বছর পরে আবার ‘হেমন্ত’ নিয়ে আপনারা একসঙ্গে।

Advertisement

অঞ্জন: হ্যাঁ, অনেক বছর পর।

পরমব্রত: প্রায় দশ বছর। আর সত্যি বলতে আমার তো অভিনয় জগতে পা রাখাই অঞ্জনদার হাত ধরে। আর ‘বং কানেকশন’ বা ‘চলো লেটস গো’য়ের সময় আমি কিন্তু অঞ্জনদাকে বেশ ভয় পেতাম। আগের ইন্টার‌্যাকশনগুলোতে একটা স্টুডেন্ট-টিচার এলিমেন্ট ছিল। আজকে যখন বসি, মনে হয় দু’জন থিঙ্কিং ইনডিভিজুয়াল কথা বলছে।

Advertisement

আজ থেকে পনেরো-ষোলো বছর আগে ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু তরুণ অভিনেতা এসেছিলেন। তাঁদের বলা হত, ‘অঞ্জন স্কুল অব অ্যাক্টর্স’। অঞ্জন, আপনার কি মনে হয় সেই স্কুলের বেস্ট ছাত্রটির নাম পরমব্রত?

অঞ্জন: অ্যাবসোলিউটলি । ‘হেমন্ত’তে পরমকে কেন নিলাম তার আগে দু’-একটা কথা বলি। পরম মানুষটার সঙ্গে আমি আইডেন্টিফাই করতে পারি। পরমের মধ্যে তথাকথিত হিরো-হিরো ব্যাপারটা নেই। মুখের মধ্যে একটা সময়ের অস্থিরতা আছে। একটা কনফিউশন আছে। একটা রাগ আছে। একটা চঞ্চলতা আছে। আজকে সিনেমা করছে, কালকে সব ছেড়ে ব্রিস্টল চলে গেল। ফিরে এসে ছবির ডিরেকশন দিল।

এগুলোর সঙ্গে আপনি আইডেন্টিফাই করতে পারেন?

অঞ্জন: অ্যাবসোলিউটলি। আমি অভিনয় করলাম। বার্লিন গেলাম। ফিরে এসে ভাবলাম গান করব। তারপর ডিরেকশন। সব মিলিয়ে পরম খুব ইন্টারেস্টিং একটা পারসোনা। এবং ‘হ্যামলেট’‌য়ের জন্য আর কাউকে তাই আমি ভাবতেও পারিনি।

পরমব্রত, কিছু বলবেন?

পরমব্রত: আমিও আইডেন্টিফাই করি অঞ্জনদার সঙ্গে। সব ব্যাপারে হয়তো একমত হই না, কিন্তু সার্বিকভাবে একটা সাঙ্ঘাতিক মিলের জায়গা আছে। আর একটা জিনিস আছে।

কী?

পরমব্রত: আমি আর অঞ্জনদা দু’জনেই ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও যেন আউটসাইডার। অঞ্জনদার থেকে আমি হয়তো কম। আমি ফিল্মের পার্টিতে যাই, সেখানে লোকজন আমার সঙ্গে কথা বলে। আড়ালে হয়তো খারাপ কথা বলে, কিন্তু সামনে ভালই বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি ওই সারাক্ষণ ইন্ডাস্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি টাইপ নই। অঞ্জনদাও তাই। এটাকে একসময় লোকে মনে করত আমার অ্যারোগেন্স, আমার দম্ভ। আজকে বলে সেলফিশনেস।

আর একটা জিনিসও বলত...

অঞ্জন: (থামিয়ে দিয়ে) বলত, পরম বড্ড পাকা। আমার আবার ওর পাকামোটা ভাল লাগত। পাকা-টা খারাপ হবে কেন? ওর বয়সের বাকিরা যা করছে, তার থেকে ওর পড়াশোনা বেশি বলে ও আরও কিছু জিনিস নিয়ে ভাবছে। ও আইসিস নিয়ে ভাবছে। ও হিস্ট্রি অব হিন্দুইজম নিয়ে ভাবছে। এটা খারাপ কেন হবে? এবং এই চিন্তা করার মনটাই আমার দরকার ছিল ‘হেমন্ত’‌তে। হ্যামলেট নিপাট ভাল মানুষ নয়। পরমও তাই। হ্যামলেটের পাগলামিটা আমি পরমের মধ্যে পাই।

‘হ্যামলেট’ ছাড়া শেক্সপিয়রের অন্য কোনও নাটক করার কথা ভেবেছেন কখনও?

অঞ্জন: না, আমি মনে করি ইন্টেলেকচুয়ালি, ফিলোজফিক্যালি ‘হ্যামলেট’ ইজ দ্য গ্রেটেস্ট ট্র্যাজেডি।

মাঝখানে তো আপনার ছবি পর পর ফ্লপ করছিল। তখন কেন ‘হ্যামলেট’‌য়ের দিকে ঝুঁকলেন না?

অঞ্জন: তখন ম্যাচিওর্ড ছিলাম না। আমার জীবনটাও অদ্ভুত। ছবি চলছে না চলছে না, ‘ব্যোমকেশ’ লেগে গেল। তারপর আবার ছবি চলছে না চলছে না, আবার ‘ব্যোমকেশ’ লেগে গেল। এখান থেকে আমার মনে হওয়া শুরু হল, আমি কি তা হলে শুধুই ‘ব্যোমকেশ’‌য়ের ডিরেক্টর নাকি? মনে হল আমি কি স্লটেড হয়ে যাচ্ছি? ‘ব্যোমকেশ’টা তো আমার ব্যক্তিত্বের থার্টি পার্সেন্ট মাত্র। বাকিটা তো আমি অন্য মানুষ। বাকিটা তো গ্লোবাল একজন বাঙালি। সেই থেকেই ‘হ্যামলেট’, সেই থেকেই ‘বংস এগেন’। গ্লোবাল বাঙালিটা আমার কাছে বেশি অ্যাপিলিং।

সেটা তো বোধহয় পরমও নিজের সমন্ধে ভাবতে ভালবাসে।

পরমব্রত: একদম তাই। আমি ওই মানুষ, যে বিরাট কোহালি নিয়ে আড্ডা মারব। থেরেসা মে নিয়ে কথা বলব। ট্রাম্পকে গালাগালি দেব। একদম চায়ের দোকানের সেই বাঙালিটা আমি। সব পাড়ায় একটা কার্তিকদা থাকে না, যাকে দেখে বোঝাই যায় না সে এত কিছু
জানে। আমার ওই বাঙালিটা ভাল লাগে। রোজ সন্ধ্যায় মল-এ ছোটা বাঙালিটা নয়।

আবার একটু ‘হেমন্ত’‌য় ফিরি। দেড় বছর আগে বিশাল ভরদ্বাজ বানিয়েছিলেন ‘হায়দর’। সেটাও ‘হ্যামলেট’‌য়ের অ্যাডাপ্টেশন। তার পরে আবার ‘হ্যামলেট’ বানানোটা আপনাদের ভাবিয়েছিল?

পরমব্রত: অফ কোর্স ।

অঞ্জন: ইয়েস ইয়েস। ওটা ডিসিশন মেকিং ফ্যাক্টর ছিল আমাদের কাছে।

অঞ্জন, আপনার তো ভাল লাগেনি ‘হায়দর’।

অঞ্জন: না, ভাল লাগেনি। বিশালের ‘মকবুল’ দারুণ লেগেছিল। ওটা দেখে মনে হয়েছিল আর কোনও দিন ‘ম্যাকবেথ’ বানাব না। ‘ওমকারা’র ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু ‘হায়দর’ দেখে মনে হয়েছিল এটা ঠিকভাবে অ্যাডাপ্ট করেনি বিশাল। আমার যেটা ভুল লেগেছিল, সেটা হল লাস্টে হ্যামলেটের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়াটা। হ্যামলেট ক্ষমা করতে পারে না। জেমস ডিন, জিম মরিসন, গুরু দত্ত, ঋত্বিক ঘটক, হ্যামলেট — এরা ভায়োলেন্ট। এরা সুইসাইডাল। এরা নিজেরাও মরবে। আশপাশটাও জ্বালিয়ে দেবে।

পরমব্রতর ভাল লেগেছিল ‘হায়দর’?

পরমব্রত: আমার যেটা সমস্যা মনে হয়েছিল, বিশাল যে দিকে ছবিটা নিয়ে যাচ্ছিল সেখানে শেষে ওকে প্রো-টেররিস্ট স্ট্যান্ড নিতেই হত। কিন্তু সেটা করতে না পেরে কীরকম একটা জগাখিচুড়ি হয়ে গেছিল শেষটা। যদি ও প্রো-টেররিস্ট স্ট্যান্ড নিত, তা হলে বেটার হত।

এটা নিয়েই তো অর্ণব গোস্বামী-বরখা দত্ত-র এত ঝামেলা।

পরমব্রত: হ্যাঁ, জানি। আমি মনে করি কাশ্মীরের কী হবে সেটা ইন্ডিয়া গভর্নমেন্টের বলা উচিত না, পাকিস্তান গভর্নমেন্টেরও না। সেটা কাশ্মীরের লোকজনের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।

আপনার এই কথা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে কিন্তু?

অঞ্জন: দ্যাট ইজ হোয়াই আই লাভ পরম। এই স্ট্যান্ডটা কেউ নেবে না এই ইন্ডাস্ট্রিতে। তাই জন্যই ‘হ্যামলেট’টা ও-ই হয়। তবে বাকিরাও দারুণ অভিনয় করেছে। হোরাশিও হিসেবে যিশু ব্রিলিয়ান্ট। ক্লদিয়াসের রোলে শাশ্বত উড়িয়ে দিয়েছে। গারট্রুড-এর রোলে গার্গী ইজ আউটস্ট্যান্ডিং।

এখানে পরিচালককে একটা প্রশ্ন করছি। আপনি বলছেন সবাই ভাল। প্রোমোশনের ক্ষেত্রে শুরুর দিকে শুধু আপনাকে আর পরমকে দেখা গেল। শেষে যখন সবাই আসছে প্রোমোশনে, তখন তো এক্সট্রা টাইম চলছে। যিশু, গার্গী, শাশ্বতদের এত দেরিতে কেন প্রোমোশনে আনলেন?

অঞ্জন: এটা অনেকেই জিজ্ঞেস করছে, আমি এখানে ব্যাপারটা ক্লিয়ার করে দিই। গল্পটা তো আসলে হ্যামলেটের। ‘হায়দর’-এর প্রোমোশনেও তাই ছিল। ওখানে শুধু শাহিদের (শাহিদ কপূর) ওপর ফোকাস ছিল। সেখানে কিন্তু ইরফান, তব্বু, কে কে মেনন ছিল, বাট স্পটলাইট ওয়াজ অন শাহিদ।

মানে এটা স্ট্র্যাটেজিক ডিসিশন?

অঞ্জন: হ্যাঁ, একেবারেই তাই। ধীরে ধীরে এক এক জন সামনে আসছে তো। আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করছে পরম যেহেতু প্রোডিউসার-এর বন্ধু তাই কি ওর ওপর সব ফোকাস? তা নয়। শ্যামসুন্দর তো নিজেই আমাকে বলেছে সবাইকে পাবলিসিটিতে ইউজ করতে, কিন্তু আমি বলেছি এই প্রোমোশনটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে় দাও। আমি একটা প্ল্যানড ওয়েতে এগোচ্ছি যেটা আমার মনে হয় ঠিক।

শুনছি, যিশু নাকি একেবারেই খুশি নন, যেভাবে ওঁকে সরিয়ে রাখা হয়েছে প্রোমোশন থেকে?

অঞ্জন: যিশু ঢুকছে এ বার প্রোমোশনে। যিশু আর শাশ্বতকে আমি কেন ইগনোর করব বলুন? যিশু আমার ব্যোমকেশ, শাশ্বত আমার অজিত। হ্যাঁ, এক্ষুনি আমি ব্যোমকেশ করছি না, ওটা ডিলে করে দেব, বাট পরে কখনও আবার করব তো ব্যোমকেশ। হোয়াই শ্যুড আই ইগনোর দেম?

এ ছবিগুলোর ক্ষেত্রে যা হয় এ বার সেটা বলছি। ১২ অগস্ট ছবি রিলিজ হওয়ার পরেই হয়তো দেখবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই ‘শেক্সপিয়র পণ্ডিত’ হয়ে গেছে। আজকে সোশ্যাল মিডিয়া এত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে ব্যাকল্যাশও হতে পারে। এটা নিয়ে আপনারা কখনও ভেবেছেন?

অঞ্জন: আমি তো চাই লোকে লিখুক। এটুকু বলতে পারি, টেক্সট বাই টেক্সট কিন্তু আমরা ‘হ্যামলেট’কে ফলো করছি। গল্পের সেটিংটা এখানে টালিগ়ঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এখানে হেমন্ত নিউ ইয়র্ক থেকে ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করে ফেরে। কিন্তু সেটাই তো ডিকন্সট্রাকশন। বাকিটা কিন্তু টেক্সট। হ্যামলেটের বাবার মৃত্যু। কাকার সঙ্গে মায়ের বিয়ে। একটা নোংরামো। সবটা রয়েছে ছবিতে। এমনকী ‘টু বি অর নট টু বি’র ডায়রেক্ট বাংলা করেও রাখা হয়েছে ছবিতে। এমনকী ‘ফ্রেইলটি দাই নেম ইজ ওম্যান’‌য়েরও। কেউ যদি শেক্সপিয়র পণ্ডিত হয়ে আসে তা হলে আমি বেশি খুশি হব।

পরমব্রত, অগস্টে ‘হেমন্ত’, আবার অক্টোবরে ‘জুলিয়াস সিজার’ অবলম্বনে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জুলফিকার।’ দু’টো কতটা আলাদা?

পরমব্রত: আমি ও সব কথা বলব না যে দু’টো ছবির স্কেলের তফাত আছে বা মাউন্টিংয়ে। আমার যেটা মনে হয়েছে দু’টো অ্যাডাপ্টেশনের রাস্তাগুলো আলাদা। অঞ্জনদার ‘হেমন্ত’ হল ছোট গলি দিয়ে এগোনো, যেখানে আবর্জনা রয়েছে, পাড়ার ছোট ছোট ঘটনা রয়েছে। অন্য দিকে সৃজিতেরটা হল বড় রাস্তার গল্প, যেখানে ভুল হলে ট্রলার এসে ধাক্কা মেরে যাবে। দু’জনেই শেক্সপিয়রকে অ্যাডাপ্ট করেছে, কিন্তু রাস্তাগুলো একেবারে আলাদা।

অঞ্জন: আমি একবার ভেবেছিলাম ‘জুলিয়াস সিজার’ করব।

করেননি কেন?

অঞ্জন: ‘জুলিয়াস সিজার’‌য়ের থেকে বড় পলিটিক্যাল ট্র্যাজেডি আর নেই। তাই পলিটিক্সটা থাকতেই হত। কিন্তু পলিটিক্সটা কী নিয়ে হবে, মানে সেটিংটা ঠিক করতে পারিনি। একসময় যখন লেফ্ট ফ্রন্ট শেষের দিকে, ভেবেছিলাম করব জুলিয়াস সিজার। যেখানে বুদ্ধবাবু হতেন ব্রুটাস আর জ্যোতিবাবু জুলিয়াস সিজার। ভয় পেয়ে এগোইনি অ্যান্ড বিয়িং ভেরি অনেস্ট অ্যাবাউট ইট।

একটা কথা খুব শুনছি । ‘হেমন্ত’র পর পর একটা ট্রেলর লঞ্চ হয় ইউটিউবে। প্রতীম ডি গুপ্তর ‘সাহেব বিবি গোলাম’। সেই ট্রেলর লঞ্চের তিন দিনেই এক লাখ হিটস ছুঁয়েছিল, কিন্তু আপনাদেরটা হিটের দিক থেকে বেশ স্লো।

পরমব্রত: আমার কাছে এটা শকিং মনে হয়নি । হ্যাঁ, ‘সাহেব বিবি গোলাম’‌য়ের ট্রেলরটা এত হিট পাবে আমি এক্সপেক্ট করিনি। তবে এটা নিয়ে অঞ্জনদার সঙ্গে আমার লম্বা লম্বা আলোচনা হয়েছে। আমিও চেয়েছিলাম ট্রেলরে আরও কিছু এলিমেন্ট রাখতে কিন্তু অঞ্জনদার একটা অন্য লজিক আছে।

অঞ্জন: আমি আমার ট্রেলরে এমন কিছু রাখব না যেটা সিনেমায় নেই। আমার সিনেমাটা খুব স্লো আর ট্রেলর বানালাম এমন যে, মনে হচ্ছে এজ অব দ্য সিট থ্রিলার — এটা করলে লোক ঠকানো হবে। সেকেন্ডলি, আমি বিজ্ঞাপনের কাজ করেছি। এ ক্ষেত্রে আমি চাই লোকে অ্যারামাস্ক মাখুক, লাইফবয়ের মার্কেটে যেতে চাই না। আমার কাছে ৭০ জন লোক, যারা আধুনিক, মননশীল, চাইব তারা প্রথম সপ্তাহে ‘হেমন্ত’ দেখুক। তাদের ভাল লাগলে রাঙাপিসিমা আর মিঠুবৌদি পরের সপ্তাহে আসবে ঠিকই।

আর ইউটিউবের হিটের ব্যাপারটা?

অঞ্জন: আমার কাছে সেটার ভ্যালু নেই। সিনেমায় পারসেপশনের জায়গা নেই।

লোকে বলছে ‘সাহেব বিবি গোলাম’‌য়ে আপনি অভিনয় করা সত্ত্বেও যেহেতু ওদের ইউটিউবে হিট আপনার থেকেও বেশি, আপনি এ বার অনায়াসে ওই ছবিটা পুরোপুরি অস্বীকার করবেন…

অঞ্জন: কোনও দিন না। প্রতীম আমার ভিতর যে অভিনেতাটা আছে, তাকে দুর্দান্ত বার করে এনেছে। আমার প্রথম প্রেম তো আজও অভিনয়। তা হলে আমি অস্বীকার করব কেন...

বুঝলাম।

পরমব্রত: আর একটা কথা। ‘হেমন্ত’ বক্স অফিসে কেমন করল, কত জন দেখল, সেটা নিয়ে আমরা বদার্ড নই। আরে, কিছু জিনিস তো মানুষ নিজের জন্যও করে, নিজের সোলের জন্য। এটা সেই রকম একটা ছবি।

অঞ্জন: (হেসে) আর যে নাটকে লেখা আছে ‘টু বি অর নট টু বি’, সে ছবির বক্স অফিস সাফল্য হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে না হয় না-ই ভাবলাম। তাই নয় কি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন