আমিরের বাড়িতে ২৫ জন পুলিশের ছবি: সংগৃহীত।
আমির খান কি আইনি বিপাকে! হঠাৎ বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’-এর বাড়িতে পৌঁছল ২৫ জন আইপিএস আধিকারিকের গাড়ি। এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আমিরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে পুলিশ আধিকারিকদের একাধিক গাড়ি। বর্তমানে ‘সিতারে জ়মিন পর’ ছবির সাফল্য উপভোগ করছেন আমির। এর মধ্যেই হঠাৎ তাঁর বাড়িতে পুলিশের হানা দেখে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এই ২৫ জন পুলিশ আধিকারিকের দল আমিরের বাড়িতে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, আমিরের সঙ্গে দেখা করতেই তাঁরা গিয়েছিলেন। যদিও এই ভিডিয়োর নেপথ্যে কতটা সত্যতা রয়েছে তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমিরের অনুরাগীরা ভিডিয়োটির সত্যতা জানতে উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছেন।
অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, আমির কি সত্যি মেঘালয় হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছবি তৈরি করছেন? তাই কি পুলিশদের সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ? মেঘালয়ের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে শিউরে উঠেছিল মানুষ। বলিউডের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমির খান এই ঘটনার খুঁটিনাটি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ঘনিষ্ঠমহলে এই ঘটনা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন। আমির খানের সহযোগীরা এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা করছেন। এই খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল দিনকয়েক আগে। এমনকি, আমির এই ছবি তৈরি করলে, তিনি নিজেই অভিনয় করবেন কি না সেই প্রশ্নও ওঠে। এই খবরে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেননি আমির। আমির সাফ বলেছেন, ‘‘একেবারে মিথ্যে কথা। এমন কোনও ছবি তৈরি করছি না। বুঝি না, এমন সব গল্প কারা ছড়ান।’’
কিছু দিন আগে আরও একটি বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আমির। অমিতাভ বচ্চন ও আমির খান এই দুই তারকার নামে রোলস রয়েস গাড়ি নথিভুক্ত ছিল। যেটি দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় বীরদর্পে চালাচ্ছিলেন সেখানকার ব্যবসায়ী ইউসুফ শরিফ। ২০২১ সালে এক বার, তার পর ২০২৩ সালে হাতবদল হয়ে গাড়িটি আসে এই ব্যবসায়ীর হাতে। তিনি আমির-অমিতাভের কাছ থেকে কেনা দু’টি বিলাবহুল গাড়ি ব্যবহার করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ জন্য করও দেন না। শুধু তাই নয়, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িগুলি কিনলেও এখনও পর্যন্ত নিজের নামে নথিবদ্ধ করাননি ওই ব্যবসায়ী। সেই কারণেই নাম জড়িয়ে যায় বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’-এর। সেই কারণে কি পুলিশ আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে? জল্পনায় এটাও উঠে আসছে।