মহরতের দিন থেকেই ফেসবুক পেজ। আর তাতে সেই সিনেমা সংক্রান্ত নানা পোস্ট।
রিলিজের মাস কয়েক আগে থেকে তারকার টুইটার পাল্টে যাওয়া ছবির নামে। যেমন ‘পিকে’র সময় অনুষ্কা শর্মার টুইটার হয়ে যায় জগৎ জননী, ‘এনএইচ টেন’য়ের সময় মীরা।
ইউটিউবে ছবির গানের ভিডিয়ো। ভিমোতে টিজার-ট্রেলার। তার ‘হিট’ ক’লাখ ছাড়াল তা নিয়ে প্রচার।
২০১৫তেও কি প্রচারের সেই একই ট্রেন্ড চলবে?
এক কথায় বলা শক্ত। তবে ট্রেন্ড যে ভাঙতে চলেছে তা বলাই যায়।
বলিউডে তো বটেই, সামনের বুধবার থেকে টলিউডেও।
কারণ, ৮ এপ্রিল সাউথ সিটিতে রিলিজ হবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়-রাইমা সেন অভিনীত মনোজ মিশিগানের বাংলা ছবি ‘৮৯’য়ের মোবাইল অ্যাপ। বাংলা ছবির প্রচারের ক্ষেত্রে এই প্রথম এমন পদক্ষেপ।
হলিউডে অ্যাপ অনেক দিন থেকেই ছিল। বছর কয়েক হল বলিউডও পা বাড়িয়েছে সে দিকে।
বছরখানেক হল বাংলা ছবি পাওয়া যাচ্ছে আইটিউনস স্টোর বা অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোরের মতো ডিজিটাল মাধ্যমে।
তবে কোনও বাংলা ছবির ক্ষেত্রে অ্যাপ এই প্রথম। ছবির প্রচারে অ্যাপ রিলিজ করার চিন্তাটা মাথায় আসে ‘৮৯’য়ের মার্কেটিং অ্যান্ড প্রোমোশন হেড সত্রাজিৎ সেনের মাথায়। ‘‘সবার আগে আমাদের মাথায় রাখা দরকার, বাংলা ছবির দর্শক বদলাচ্ছে। বিশেষ করে অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরাও এখন ভাল বাংলা ছবি দেখতে হল-এ ভিড় করছে। তারা টেক স্যাভি। টিকিট কাটছে মোবাইলে, বুকমাইশো-তে। এদের কাছে পৌঁছতে গেলে মোবাইল প্ল্যাটফর্মটা ব্যবহার করতেই হবে। শুধু ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের প্রথাগত প্রচার দিয়ে জেন ওয়াইকে আর হল-এ টেনে আনা যাবে না। তার জন্যই এই অ্যাপ,’’ জানালেন সত্রাজিৎ। তিনি এই ছবির প্রেজেন্টারও।
আপাতত অ্যান্ড্রয়েডে এই অ্যাপ পাওয়া গেলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আইওএস-এও এসে যাবে। এই অ্যাপটির ডেভেলপার স্কন্দ ত্যাগী। তাঁরাই অ্যাটলেটিকো দি কলকাতার অফিশিয়াল অ্যাপটিও তৈরি করেছিলেন।
এক কথায় বলতে গেলে এই অ্যাপ ছবির ট্রেলার, ছবি, গানের ভিডিয়োর একটা সব পেয়েছির আসর। ট্রেলার-টিজার ছাড়াও অ্যাপের মধ্যেই থাকবে ক্যুইজের ব্যবস্থা। ঠিক উত্তর দিলে মিলবে প্রাইজ। আর উৎসাহীদের জন্য পুশ নোটিফিকেশনের ব্যবস্থাও থাকছে অ্যাপে। অর্থাৎ, নিউজ অ্যাপসের মতোই এই ছবি সংক্রান্ত সব খবরই পৌঁছে যাবে মুহূর্তের মধ্যে।
লাখ দু’য়েকের মধ্যেই বানিয়ে ফেলা যায় এই রকম একটা অ্যাপ। দেখার, ছবির প্রচারে অন্যরাও ‘৮৯’য়ের মতো অ্যাপের পথ ধরেন কি না! কিন্তু হলিউডের মডেল কি টলিউডের বক্স অফিসে জোয়ার আনতে পারবে?
সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।