পিতৃদিবসে অমিতাভ বচ্চনের উদ্দেশ্যে ঋণস্বীকার অভিষেক বচ্চনের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তিনি বাবার মতো নন, অহরহ এই আলোচনা। তাঁর হাঁটা-চলা, কথা বলা, বিশেষ করে তাঁর অভিনয় নিয়ে নিরন্তর কাটাছেঁড়া। সারা ক্ষণ বাবার সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচার। ভাল অভিনয় করলেও বাবার কৃতিত্ব। মন্দ করলে কথাই নেই! এমন বাবার ছেলে হয়ে এটা কী করলেন অভিষেক বচ্চন? আজীবন অমিতাভ বচ্চনের ছায়ায় ঢেকে থাকা অভিনেতা-পুত্র কোনও দিন প্রতিবাদ জানাননি। পিতৃ দিবসে আরও এক বার তিনি পিতৃঋণ স্বীকার করলেন। ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর ভারী কণ্ঠস্বর বলেছে, “বাবা-ঠাকুর্দার দেওয়া বচ্চন পদবি না থাকলে আমায় কে চিনত? আমি আজ যা, যে টুকু— সবটাই তোমাদের জন্য।”
অভিষেকের ভিডিয়ো বার্তায় বাবা-ছেলের আবেগঘন টুকরো টুকরো মুহূর্ত। ছোট্ট অভিষেক বাবার কোলে চেপে কিংবা তাঁর পাশে শুয়ে— এমন ছবি সাদা-কালো ছবি আছে। আবার অমিতাভের জন্মদিনে রিয়্যালিটি শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’তে পা দিয়েই ‘পা’কে জড়িয়ে ধরা, এমন দৃশ্য স্মৃতিকাতর করেছে অভিষেকের অনুরাগীদের। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে বাবার চোখ উপচে অশ্রুবিন্দু! পিতার সঙ্গে সন্তানের এই বন্ধন চিরকালীন— মনে করিয়ে দিয়েছেন ‘ছোটা বি’। তিনি পিতৃছায়ায় থেকে অসম্মানিত নন, তাঁর বক্তব্যে এ কথাও স্পষ্ট।
আজও ‘পাপা’র সামনে অভিষেক ‘জুনিয়র বি’! বাবাকে দেখলে অকারণ ছেলেমানুষি জাগে তাঁর মনে। গুরুগম্ভীর বাবা আদর করে বুকে টেনে নিলে বা জড়িয়ে ধরলে তিনি বোঝেন, সন্তান যতই বড় হয়ে যাক— মা-বাবার কাছে সে-ই ছোট্টটি। বিশেষ দিনে অভিষেক বাবার ঋণস্বীকারের পাশাপাশি কথাও দিয়েছেন, “বাবা তাঁর বাবার দেওয়া পদবির সম্মান রেখেছেন। আমিও আমার মতো করে চেষ্টা করছি। আগামী দিনেও এই চেষ্টা জারি থাকবে।”